পথে-ঘাটে, বাস, ট্রেনে নারীরা যৌন নির্যাতনের শিকার হোন। সেখানে যারা এই কাজ গুলো করেন তাদের অধিকাংশই শিক্ষাহীন ও মানবিক জ্ঞান শূন্য যেমন বাস ড্রাইভার, হেলপার, কুলি, শ্রমিক ইত্যাদি শ্রেণির মানুষগুলো। কিন্তু যখন দেখি দেশের শিক্ষিত ও এলিট সমাজের মানুষগুলো দ্বারা
অফিস, শিক্ষাঙ্গন, ক্রীড়াঙ্গন, পোশাক শিল্প – প্রায় সব কর্মক্ষেত্রেই নারীদের যৌন হয়রানির শিকার হতে হয়। তখন মনে হয় শিক্ষিত ও এলিট সমাজের মানুষগুলো ঐ শিক্ষাহীন ও মানবিক জ্ঞান শূন্য মানুষগুলোর চেয়ে বেশি জানোয়ারের মনোবৃত্ত বাস করে। নারী যৌন নির্যাতনের প্রকৃত ঘটনার তুলনায় প্রকাশ্যে যা খুবই সামান্য তদন্ত ও দোষীর শাস্তি নিশ্চিত করার দৃষ্টান্তও অতি বিরল৷ জাতীয় নারী ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক জাহানারা আলম সম্প্রতি নারী দলের সাবেক নির্বাচক ও ম্যানেজার মঞ্জুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ তুলেছেন। যা ক্রীড়াঙ্গনের জন্য ক্ষতিকারক।পুরুষতান্ত্রিক সমাজে আপনি যার কাছে অভিযোগ করবেন, তিনিও পুরুষ। ফলে, ন্যায় বিচার পাওয়া নিয়ে সংশয় থেকে যায়। এই ভয়ে নারী কর্মীরা অভিযোগ করতে সাহস করেন না। অধিকাংশ অফিসে যৌন নিপীড়ন সেলই তো নেই। কিছু ঘটনার বিচার হলে নারী কর্মীদের কর্মপরিবেশ ভালো হতো।
