বাংলাদেশের তরুনদের পাকিস্তানের উগ্রবাদী সংগঠন তেহরিক-এ-তালেবান পাকিস্তান (টিটিপি) রিক্রুট করার প্রক্রিয়া অত্যন্ত ভয়ংকর। দরিদ্র পরিবারের তরুণদের ধর্মের ভূলভাবে ব্যাখ্যা, আর্থিক প্রলোভন ও প্রতারণার মাধ্যমে টিটিপি রিক্রুট করে দল ভারি করে সন্ত্রাসী ও জঙ্গী কার্যক্রমে যুক্ত করছে। বর্তমানে ২৫ থেকে ৩০ জন বাংলাদেশি পাকিস্তানে সক্রিয়ভাবে জঙ্গিবাদের সাথে যুক্ত রয়েছে উগ্র জঙ্গি সংগঠন টিটিপিতে। ৫ আগষ্ট সরকার পতনের পর দেশে কিছু উগ্র মৌলবাদী গোষ্ঠী ধর্মের নামে নানা অপকর্ম শুরু করেছে। তথাকথিত তৌহিদী জনতার নামে মব সৃষ্টি করে হামলা, হত্যাসহ দেশে বিশৃঙ্খলা তৈরি করছে। অনেকে টার্গেট কিলিংয়ের শিকার হচ্ছে। তৌহিদী জনতা কারা, তা দেশের মানুষ অনুধাবন করছে। এই মৌলবাদীদের ছত্রছায়ায় থাকা একটি গোষ্ঠী তৌহিদী জনতা সেজে এ কাজ করছে। প্রবঞ্চনার মাধ্যমে সাধারণ মানুষের ধর্মীয় আবেগকে পুঁজি করে নিজেদের স্বার্থ হাসিল করতে চাচ্ছে। তারা উগ্রবাদীদের প্রশ্রয় দিচ্ছে। আমাদের দেশের মধ্যপন্থী মুসলমানের দেশকে নতুন করে গোঁড়ামিতে ঢুকিয়ে দেয়ার প্রবণতা শঙ্কার সৃষ্টি হচ্ছে। উগ্রবাদী জঙ্গি গোষ্ঠীরা মুসলমানদের ভিন্ন বিশ্বাস ও মতামতের ওপর আঘাত করে মাজার গুলো ভেঙে ফেলেছে, শিল্প-সংস্কৃতিতে বাধা সৃষ্টি করছে। এর মাধ্যমে তারা ইসলামের বদনাম করছে। দেশে জঙ্গীবাদের উত্থান ঘটছে। বিভিন্ন উপায়ে দরিদ্র তরুণদের পাকিস্তানের উগ্র জঙ্গি সংগঠনে যুক্ত হওয়ার বিষয়টিও আন্তর্জাতিকভাবে নতুন করে ইস্যু তৈরি করছে।
সরকারকে জনসচেতনতা সৃষ্টিতে বিভিন্ন কার্যক্রম চালাতে হবে। জঙ্গী সংগঠনগুলো সদস্য রিক্রুটের ক্ষেত্রে কোন ধরনের পরিবারকে এবং কাদের টার্গেট করছে, তা চিহ্নিত করে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে হবে। জঙ্গী কর্মকান্ডে যাতে তরুণরা যুক্ত না হয়, এজন্য দেশের আলেম-ওলামাদেরও ভূমিকা রাখতে হবে।
