ধর্ষণকারীর সঙ্গে ধর্ষণের শিকার নারীর বিয়ে বন্ধ করা দরকার। এ ধরনের বিয়ে নারীর জন্য মর্যাদাকর নয়। নারীর নিরাপত্তাও ঝুঁকিতে পড়ে। এ ছাড়া আইনেও এ ধরনের বিয়ের বিধান নেই। সাম্প্রতিক সময়ে আইনি জটিলতা কমাতে আদালতের আদেশে ধর্ষকের সঙ্গে ধর্ষণের শিকার নারীর বিয়ে হচ্ছে। এটা বন্ধ হওয়া প্রয়োজন। আইনের বিধানে এ ধরনের বিয়ে দিয়ে সমাধানের কথা বলা নেই। এতে নারীর আত্মমর্যাদার ওপরে আঘাত আসে, তাঁর নিরাপত্তাও বিঘ্নিত হয়। নারীর মর্যাদা ও মানবাধিকার রক্ষায় ধর্ষকের সঙ্গে বিয়ে কোনোভাবেই কাম্য নয়। ধর্ষণের শিকার নারীকে তার ধর্ষকের সঙ্গে বিয়ে করতে বাধ্য করা কখনোই ন্যায়বিচার হতে পারে না! এটা আসলে প্রাতিষ্ঠানিক নিষ্ঠুরতার এক নগ্ন উদাহরণ। এমন রায় কোনো আদালতের রায় হতে পারে না- এটা নৈতিকতা ও আইনের সম্পূর্ণ ভগ্নদশার প্রতিচ্ছবি। নির্যাতকের সঙ্গে তথাকথিত ‘পারস্পরিক সম্মতি’র মাধ্যমে জুড়ে দেওয়া উচিত নয়। এ ধরনের রায় প্রমাণ করে, বিচারব্যবস্থা কতটা পিতৃতান্ত্রিক ও দুর্নীতিগ্রস্ত।এ ধরণের রায় শুধু একজন নারীকে ব্যর্থ করে না, এটি সব ধর্ষণ-নির্যাতনের শিকারদের উদ্দেশে এক ভয়ঙ্কর বার্তা দেয়- তাদের যন্ত্রণা নাকি দর কষাকষির বস্তু!, ন্যায়বিচার তখনই প্রতিষ্ঠিত হয়, যখন তা মর্যাদার উপর ভিত্তি করে গড়ে ওঠে- সহিংসতার সঙ্গে আপস করে নয়।
ধর্ষণের শিকার নারীর সঙ্গে ধর্ষকের বিয়ে ন্যায়বিচার হতে পারে না
previous post
