বাংলাদেশে সক্রিয় জঙ্গি সংগঠনগুলোর মধ্যে বেশিরভাগই কোণঠাসা অবস্থায় থাকলেও শঙ্কা এখনও আনসার আল ইসলামকে নিয়ে। বিগত কয়েক বছর ধরে এই সংগঠনের সহিংস কর্মকাণ্ড না থাকলেও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সুত্র বলছে আনসার আল ইসলাম ভেতরে ভেতরে সুসংগঠিত হওয়ার কাজ করছে। তারা যদি আবারও সহিংস কর্মকাণ্ডে ফিরে আসে তবে বাংলাদেশের জন্য তা বড় শঙ্কার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। দীর্ঘদিন ধরে জঙ্গিবাদ পর্যবেক্ষণ করে আসা বিশ্লেষকরা বলছেন, বাংলাদেশে সক্রিয় জঙ্গি সংগঠনগুলোর মধ্যে আনসার আল ইসলামের সদস্যরা অন্যান্য সংগঠনের তুলনায় অনেক বেশি সংগঠিত। এই দলের সদস্যরা অন্যদের তুলনায় শিক্ষিত ও প্রযুক্তি সম্পর্কে অধিক জ্ঞানসম্পন্ন। এই দলের শীর্ষ নেতা পলাতক সেনাবাহিনী থেকে বহিষ্কৃত মেজর জিয়াও অনেক বেশি প্রযুক্তিবিষয়ক জ্ঞানসম্পন্ন। জিয়ার নির্দেশনা এবং শেখানো কৌশলেই আনসার আল ইসলাম দেশে ‘টার্গেটেড কিলিং’ শুরু করেছিল। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সুত্র জানায় আনসার আল ইসলাম সাংগঠনিকভাবে এখন সহিংস কর্মকাণ্ড বন্ধ করে দাওয়াতি কার্যক্রম, সদস্য সংগ্রহ, সদস্যদের প্রশিক্ষণ ও সংগঠিত করার কাজ পরিচালনা করছে।। আগে তারা ‘টার্গেটেড কিলিং’ পরিচালনা করলেও ভবিষ্যতে আরও বেশি ধ্বংসাত্মক হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। আনসার আল ইসলাম শীর্ষ নেতৃত্ব পলাতক। এই অবস্থায় নতুন করে আনসার আল ইসলাম পুরানো চেহারা নিয়ে ফিরে আসার সম্ভাবনা কম থাকলে শঙ্কা এখনও কিন্তু এখনও আছে।
