জেএমবি কি পুনরায় তাদের শক্তি বৃদ্ধি করতে চলেছে? ঢাকার কেরানিগঞ্জে মাদ্রাসায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ এ বিতর্ককে নতুন করে উস্কে দিচ্ছে জেএমবির সম্পৃক্ততা। বিস্ফোরণ ঘটনায় ইতিমধ্যেই চারজনের অধিক গুরুতর জখম হয়েছেন। আর এই ঘটনায় হাত রয়েছে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জেএমবি’র সদস্য আল-আমিন শেখ ওরফে রাজীবের। ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার তদন্তের পর এমনই জানিয়ে দিলেন। মাদ্রাসার আড়ালে বিস্ফোরক ও বোমা তৈরির কার্যক্রম চালানো হচ্ছিল বলে অভিযোগ। এ ব্যাপারে নিশ্চিত হয়েছে পুলিশ।
৫ আগষ্টের পর দেশের বিভিন্ন কারাগার থেকে ভয়ঙ্কর জঙ্গিরা পালিয়েছে সাথে অস্ত্র গোলাবারুদ নিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা প্রতি উদাসীনতার কারনেই জেএমবি যে নিজেদের শাখা-প্রশাখাগুলিকে আবারও বিস্তার করছে। নিজেদের সংগঠনকে শক্তিশালী করে নাশকতামূলক কার্যকলাপে লিপ্ত হতে চাইছে, ঢাকার কেরানীগঞ্জে মাদ্রাসায় বিস্ফোরণ তারাই ইঙ্গিত দিচ্ছে। মাদ্রাসার পরিচালক আল-আমিন শেখ নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জেএমবির সক্রিয় সদস্য। মাদ্রাসায়া বিস্ফোরণ ঘটনার পর থেকে আল আমিন পলাতক। তবে তার পরিবারের সদস্যদের আটক করা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিশ্চিত হয়েছে যে, মাদ্রাসার একটি কক্ষে বিস্ফোরক তৈরির সময় এই দুর্ঘটনা ঘটে। এবং ঘটনাস্থল থেকে বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক দ্রব্য, হাইড্রোজেন পারঅক্সাইড এবং টিএটিপি তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, টিএটিপি সাধারণত আত্মঘাতী হামলার জন্য ‘সুইসাইডাল ভেস্ট’ তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। নিষিদ্ধ এই জেএমবি সংগঠন যে আরও বড় কোনও পরিকল্পনা রয়েছে, সেটা তদন্তে পরিষ্কার হয়েছে পুলিশের কাছে। ধর্মীয় শিক্ষার আড়ালে মাদ্রাসাটিতে গড়ে তোলা হয়েছিল বিস্ফোরক তৈরির ল্যাবরেটরি। অথচ সরকার নাকি কিছুই জানে না! বোমা তৈরি কারখানা করা হয়।
এই ঘটনায় জনগণের ঘুম উড়ে গিয়েছে। তাঁরা মনে করছেন এবং হতেও পারে, সাধারণ মানুষের ভিড়ে জেএমবির কত জঙ্গী মিশে আছে ভবিষ্যতে আরো বড় নাশকতার ছক কষছে।
