ময়মনসিংহের ত্রিশালে ১০ বছরের এক ছাত্রকে বলাৎকার করায় কওমি মাদরাসার মুহতামিম আব্দুল কাদিরকে আটক করেছে ত্রিশাল থানা পুলিশ। ওই ছাত্রসহ আরও অনেককেই বলাৎকার করেন বলে অভিযোগ রয়েছে আব্দুল কাদিরের বিরুদ্ধে।
সোমবার (৯ আগস্ট) দুপুরে উপজেলার মঠবাড়ী ইউনিয়নের পোড়াবাড়ী বাজার মাদরাসা থেকে আব্দুল কাদিরকে আটক করা হয়। তিনি উপজেলার মঠবাড়ী ইউনিয়নের পোড়াবাড়ী বাজারে কওমি মাদরাসা জামিয়া রশিদিয়া তালিমুল কোরআন মাদরাসা ও এতিমখানার অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করছেন।
স্থানীয় সূত্রে ও থানার অভিযোগ-পত্রে জানা যায়, ওই শিশু চার বছর ধরে জামিয়া রশিদিয়া তালিমুল কোরআন মাদরাসা ও এতিমখানায় আবাসিক থেকে দ্বীন-ই শিক্ষা গ্রহণ করে আসছিল। প্রায় রাতেই সবাই ঘুমিয়ে গেলে মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুল কাদির ওই শিশুকে তার রুমে নিয়ে বলাৎকার করে। একাধিকবার তিনি ওই শিশুসহ আরো অনেককেই নির্যাতন করেন বলে অভিযোগ রয়েছে। তিনি এ মাদরাসাসহ আরও তিনটি মাদরাসা পরিচালনা করেন। তার ঘরে চার জন স্ত্রীও রয়েছেন।
মঠবাড়ী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আব্দুল কদ্দুস মন্ডল বলেন, বলাৎকারকারী মাদরাসা শিক্ষক আব্দুল কাদির এর আগে আরও তিন ছাত্রকে বলাৎকার করেছে বলে ভুক্তভোগী ছাত্ররা জানায়। যে ছাত্রকে বলাৎকার করে ধরা পড়েছে তার বাবা নেই, সে লজ্জায় কাউকে কিছু বলতে পারেনি। পরে তার চাচাদেরকে লিখিতভাবে জানালে সবাই জানতে পারে।
ত্রিশাল থানার অফিসার ইনচার্জ মো: মাইন উদ্দিন জানান, বলাৎকারের অভিযোগে কওমি মাদরাসার অধ্যক্ষ আব্দুল কাদিরকে আটক করা হয়েছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে। মামলা হওয়ার পর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত শিশুর বড় ভাই বাদি হয়ে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি গ্রহণ করছেন। এর আগে উপজেলার ধানীখোলা ইউনিয়নের একটি কওমি মাদরাসার মুহতামিম গত ৫ জুলাই অত্র মাদরাসার এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে বর্তমানে হাজতে আছেন।
2 comments
এদের এমন শাস্তি দেওয়া প্রয়োজন যাতে আর কোন দিন কেউ এমন ধরনের জঘণ্য কাজ করতে সাহাস না পায়
জনতার সামনে ইট-পাথর মারতে হবে এই ভন্ডদের জন্য ইসলামে এর বদনাম হয়