বাংলাদেশে হামলার পরিকল্পনাকারী হিসেবে অভিযুক্ত নওরোজ রায়েদ আমিন নামের এ বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত অস্ট্রেলিয়ার নাগরিককে ৫ বছর ৪ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলসের সুপ্রিম কোর্ট।
তিনি বাংলাদেশে হামলা করতে অস্ট্রেলিয়া থেকে রওনা দেওয়ার সময় আটক হয়েছিলেন। ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশে জঙ্গি মতাদর্শ সমর্থনকারীদের সঙ্গে দেখা করতে বাংলাদেশে আসার সময় সিডনি বিমানবন্দর থেকে নওরোজকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়।
এরপর প্রায় দুই বছর নজরদারিতে রাখার পর বাংলাদেশে বড় ধরনের জঙ্গি হামলার প্রস্তুতি নেওয়ার অভিযোগে আটক করা হয়েছিল তাঁকে। সোমবার সব প্রমাণের ভিত্তিতে আদালত ৩০ বছর বয়সী নওরোজকে এই কারাদণ্ড প্রদান করে আদালত।
বাংলাদেশে পাঠানো নওরোজের যে বার্তার কারণে পুলিশ তাঁকে সন্দেহ করেছিল, সে বার্তায়, ‘নতুন রেস্টুরেন্ট চালু’ করা, এবং ‘রান্না শেখা’র কথা উল্লেখ ছিল। বাংলাদেশে পাঠানো তাঁর বার্তার একটি অংশ প্রকাশ করেছে আদালত। বার্তাটি ছিল, ‘অস্ট্রেলিয়ার পরিস্থিতি শিগগিরই খুব উত্তপ্ত হতে চলেছে, যদি আপনি জানেন আমি কী বলতে চাচ্ছি। মাকে যা করতে হবে, তা হলো কিছু রেসিপি রান্না করা শিখতে হবে। অস্ট্রেলিয়ায় আমাদের সেই জ্ঞান নেই। যদি আপনি এমন কাউকে চেনেন, যিনি আমাকে রান্না করতে শেখাতে পারেন…এক মাসের মধ্যে আমাকে কিছু রেসিপি নিয়ে ফিরে আসতে হবে…এখানকার ভাইয়েরা রেস্টুরেন্ট খুলতে প্রস্তুত।’
এ ছাড়া বাংলাদেশে আসতে চাওয়ার সময় নওরোজের কাছ থেকে একটি পেনড্রাইভ উদ্ধার করেছিলেন নিরাপত্তাকর্মীরা। তাতে আইএসের জঙ্গি হামলা সম্পর্কিত তথ্য পাওয়া যায়। এদিকে ২০১৭ সালে বাংলাদেশে গ্রেপ্তার সাদিয়া আমিন নামের এক নারীকে নিষিদ্ধ জঙ্গিগোষ্ঠীর সদস্য সন্দেহে আটক করে র্যাব। সেই নারী নওরোজ আমিনের স্ত্রী বলেও জানিয়েছিল র্যাব। নওরোজ রায়েদ আমিনের পৈতৃক নিবাস বাংলাদেশের কুমিল্লায় এবং মায়ের বাড়ি বরিশালে। সিডনির ইঙ্গেলবার্ন এলাকায় হারম্যান স্ট্রিটের বাড়িতে পরিবারের সঙ্গে বাস করতেন তিনি। ইঙ্গেলবার্নে তাঁর প্রতিবেশীরা নওরোজ সম্পর্কে বেশি কিছু না জানলেও তাঁর বাবা একজন নিপাট ভদ্রলোক বলে মন্তব্য করেছেন
সুত্র: প্রভাত ফেরী
8 comments
বিদেশে বসে বাংলাদেশ হামলা চিন্তা করা মানে, দেশের ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন করা। তার শাস্তি যথাযথ সঠিক হয়েছে।
শুধু বাংলাদেশেরই ক্ষতি হয়নি ক্ষতি অষ্ট্রেলিয়া বসবাসরত প্রবাসীদের, বাংলাদেশী সর্ম্পকে একটি নীতিবাচক ধারণা পোষণ হয়েছে অষ্ট্রেলিয়া সরকারে কাছে
অস্ট্রেলিয়া বসে বাংলাদেশ জঙ্গি হামলার পরিকল্পনাকারীকে আরো কঠিন শাস্তি দেওয়া উচিত এবং জিজ্ঞাসাবাদের মধ্যেমে এর মুলহোতা কারা চিহ্নিত করা খুবই প্রয়োজন।
বাংলাদেশের নাগরিক হিসেব ধন্যবাদ জানাচ্ছি অষ্ট্রেলিয়াকে যে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রকারী চিহ্নিত করে শাস্তি দেওয়াতে
রায়েদ আমিন মতো আরো অনেক কুলাঙ্গার যার বিদেশে বসে দেশে ক্ষতি করার জন্য গবেষণা করছে। তাদের পরিকল্পান কোনদিন সফল হবে না।
তার পেইনড্রাইভে আইএস এর জঙ্গি হামলার তথ্য পাওয়া গেছে এবং তার স্ত্রী নাকি আইএসর সদস্য তার মানে তারা ভয়ংকর জঙ্গি নেটওর্য়াকের সাথে জড়িত
অষ্ট্রেলিয়া থেকে বাংলাদেশ এর প্রতি তার এত প্রতিহিংসা কেন?
অষ্ট্রেলিয়াকে ধন্যবাদেএই কারণে তার মত একজন ভয়ংকর জঙ্গি সন্ত্রাসীকে বাংলাদেশে আসার আগেই গ্রেপ্তার করে শাস্তি দিয়েছে।