বিভিন্ন এলাকায় একাধিক নারীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে অনৈতিক কর্মকাণ্ডে বাধ্য করতো মো. সাগর মিজি (২৪)। এ কাজে সে বিভিন্ন স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়পড়ুয়া ছাত্রীদের প্রেমের ফাঁদে ফেলতো। এরপর তাদের তাদের বিভিন্ন এলাকায় ঘুরতে নিয়ে যেতো ও কৌশলে ধর্ষণ করতো।
শনিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে গ্রেফতারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)-এর কাছে দেওয়া স্বীকারোক্তিতে সাগর এসব তথ্য জানায়।
সম্প্রতি কক্সবাজারের একটি হোটেলে চাঞ্চল্যকর নারী হত্যার ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় মো. সাগর মিজিকে প্রধান আসামি করা হয়। কক্সবাজার সদর মডেল থানায় করা এই হত্যা মামলায় শনিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২ টার দিকে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানাধীন সায়েদাবাদ বাসস্ট্যান্ড টোলপ্লাজা এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে ভুক্তভোগী ওই নারীর মোবাইলসহ মোট ৩ টি মোবাইল ফোন ও নগদ পনের হাজার টাকা জব্দ করা হয়।
সাগরকে গ্রেফতারের পর শনিবার বিকেল ৪টায় কাওরানবাজার র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-১০ অধিনায়ক এডিশনাল ডিআইজি মাহফুজুর রহমান জানান, সাগরের কাছ থেকে ভুক্তভোগী ওই নারীর মোবাইলসহ মোট ৩ টি মোবাইল ফোন ও নগদ পনের হাজার টাকা জব্দ করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে মাহফুজুর রহমান বলেন, গত ১৮ সেপ্টেম্বর আনুমানিক ১০টার দিকে কক্সবাজার কলাতলী এলাকার ‘আমারী রিসোর্ট’ এর ১০৮ নম্বর রুম ভাড়া নেয় সাগর মিজি। পরে হোটেল কর্তৃপক্ষকে সে জানায়-২০ সেপ্টেম্বর তার স্ত্রী ঢাকা হতে আসবেন, তখন তাকে অন্য একটি ডাবল রুম দিতে হবে। সে অনুযায়ী ২০ সেপ্টেম্বর আসামি সাগর তার স্ত্রীর পরিচয়ে এক নারীকে নিয়ে (২৬) রিসোর্টের ওই রুমে উঠে। পরদিন ২১ সেপ্টেম্বর আনুমানিক ১০টায় হোটেল কর্তৃপক্ষ ওই কক্ষে কোন সাড়া-শব্দ না পেয়ে কক্ষের দরজা ভেঙে নারীর মরদেহ দেখতে পায়।
এরপর পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে।
আসামি সাগরের বরাত দিয়ে পুলিশ আরও জানায়, পূর্ব পরিচয়ের সূত্র ধরে ওই নারীকে স্ত্রী পরিচয়ে ‘আমারী রিসোর্ট’ এ নিয়ে যায়। রিসোর্টের কক্ষে নিয়ে ভুক্তভোগী নারীকে ধর্ষণের একপর্যায়ে সাগরের সঙ্গে ধস্তাধস্তি শুরু হয়। ধস্তাধস্তিকালে সাগর গলা চেপে ধরে দেওয়ালের সঙ্গে ধাক্কা দিলে ওই নারী মেঝেতে পড়ে যায়। এরপর পুনরায় গলা টিপে ধরে পাশে থাকা গ্লাস দিয়ে দুই-তিনবার সজোরে মাথায় আঘাত করে হত্যা করে। পরে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।
Ref. Ittefaq
3 comments
এই অপরাধীর বিচার দ্রুত ট্রাইব্যুানালে করা উচিত
সামাজিক মাধ্যমে এ ঘটানার বিবরণ ও ছবি প্রচার করাতে উচিত যাতে কোন নারী আর প্রতারিত না হয়
শুধু ধর্ষণকারী নয় এই জানোয়ার হত্যাকারী ও বিচার জনসম্মুখে ক্রসফায়ার