রাজধানীর পল্টনে অভিযান চালিয়ে আন্তর্জাতিক মানবপাচারকারী চক্রের এক সদস্যকে আটক করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। অভিযানে ঘটনাস্থল থেকে নারীসহ চারজন ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করা হয়েছে।
মানবপাচারকারী চক্রের আটক সদস্য হলেন- মো. শামসুদ্দিন (৬১)। এ সময় আসামির কাছ থেকে দুটি মোবাইল ফোন, একাধিক ব্যক্তির পাসপোর্ট, একটি বিএমইটি কার্ড, একজন নারী ও তিনজন পুরুষ ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করা হয়।
সোমবার (২২ নভেম্বর) বিকেল ৫টার দিকে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র্যাব-১ এর অধিনায়ক (সিও) লেফটেন্যান্ট কর্নেল আব্দুল্লাহ আল মোমেন।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক মানবপাচারকারী চক্রের বিদেশি নাগরিকসহ অসংখ্য মানবপাচারকারী চক্রের সদস্যকে আটক করে আইনের আওতায় আনতে সক্ষম হয়েছি। এসব মানবপাচারকারী চক্রের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-১ সম্প্রতি রাজধানীসহ বেশ কিছু এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে। সেই ধারাবাহিকতায় দুপুর ২টার দিকে পল্টন থানা এলাকা থেকে আন্তর্জাতিক মানবপাচারকারী চক্রের সদস্য শামসুদ্দিনকে আটক করা হয়।
তিনি আরও বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, বর্তমানে দুবাইয়ে অবস্থানরত মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিনের (৩৭), (গ্রামের বাড়ি ফেনী) পরিকল্পনা ও নেতৃত্বে মানবপাচার কাজে যুক্ত হন শামসুদ্দিন। জিয়াউদ্দিনের সঙ্গে বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যক্তিবর্গের যোগসাজশের প্রমাণ পাওয়া গেছে।
লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোমেন বলেন, বিভিন্ন কোম্পানি ও গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিতে চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে এ প্রতারক চক্র তরুণীদের বিদেশ পাঠাতে প্রলুব্ধ করে এবং কোনো তরুণী বিদেশ গমনে রাজী না হলে হুমকিও দিতো। এছাড়াও মানবপাচারকারী চক্রটি পুরুষ ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে তিন থেকে চার লাখ করে টাকা নিতো।
আটক শামসুদ্দিনকে জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোমেন আরও বলেন, তিনি এ পর্যন্ত শতাধিক নারীকে বিদেশ পাচার করেছেন। এ চক্রটি দুবাই, সিঙ্গাপুর এবং ভারতে নারী এবং পুরুষদের পাচার করে আসছেন। এখন পর্যন্ত প্রায় শতাধিক নারী পুরুষকে পাচার করেছে এ চক্রটি। যেসব নারী বিদেশে যেতে ইচ্ছুক বা যেতে চায় তাদের জনপ্রতি ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা করে দেওয়া হতো। আর পুরুষদের কাছ থেকে নেওয়া হতো জনপ্রতি তিন থেকে চার লাখ টাকা করে। দুবাই ড্যান্স ক্লাবে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে অনৈতিক কাজে বাধ্য করা হতো তরুণীদের। এ চক্রটি জাল এম্প্লয়মেন্ট কার্ড ও বিএমইটি কার্ড তৈরি করতো কোনো ফিঙ্গারপ্রিন্ট ছাড়াই।
সুত্রঃ বাংলা নিউজ
5 comments
খুব দ্রুত এ ধরনের সকল অপরাধকারীদের আইনগতভাবে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড নিশ্চিত করা হোক নয়তো এরা থামবে না
নারী পাচার চক্রের সবাইকে ফাঁসি দেওয়া হোক।
এরা কি কোন মা-বোনের পেটে জন্ম নেয়নি শুধুমাত্র টাকা উপার্জনের জন্য এই জঘন্য কাজ করে কিভাবে তারা
They have no mercy. Never
লাভ কি হবে টাকা দিয়ে জামিন নিয়ে চলে । ওদেরকে বিশেষ ট্রাইবুন্যালের মাধ্যমে বিচার করা হোক