নারীর প্রতি সহিংসতার অবসান চেয়ে ইউরোপ ও লাতিন আমেরিকার বিভিন্ন দেশে বিক্ষোভ করেছেন হাজারো মানুষ। বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়।
আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ দিবস উপলক্ষে গতকাল বৃহস্পতিবার এই বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়।
এদিন মেক্সিকো সিটি, মাদ্রিদ, বার্সেলোনা, প্যারিস ও লন্ডনের রাস্তায় হাজারো মানুষ বিক্ষোভে শামিল হন। চিলি, ভেনিজুয়েলা, বলিভিয়া, উরুগুয়ে, কোস্টারিকা, পানামা, কলম্বিয়াতেও বিক্ষোভ হয়েছে।
মেক্সিকোতে প্রতিদিন প্রায় ১০ জন নারী হত্যার শিকার হন। দেশটিতে নারীর প্রতি সহিংসতার অবসান চেয়ে হওয়া বিক্ষোভে অংশ নেওয়া ব্যক্তিদের হাতে থাকা ব্যানারে লেখা ছিল, ‘তাঁরা মারা যাননি, তাঁদের হত্যা করা হয়েছে’।
মেক্সিকো সিটিতে কর্মসূচি চলাকালে পুলিশ ও বিক্ষোভকারীদের মধ্যে উত্তেজনা তৈরি হয়। বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করে পুলিশ। এ সময় কিছু বিক্ষোভকারী পুলিশের আত্মরক্ষার সরঞ্জাম কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন।
তুরস্ক সরকারকে নারীর প্রতি সুরক্ষামূলক একটি আন্তর্জাতিক চুক্তিতে ফিরে যাওয়ার আহ্বান জানিয়ে ইস্তাম্বুলের রাস্তায় বিক্ষোভ হয়। বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের শেল ছোড়ে। এতে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে পড়ে।
মানবাধিকার সংগঠনগুলোর তথ্য অনুযায়ী, তুরস্কে চলতি বছর এখন পর্যন্ত ৩৪৫ জন নারী হত্যাকাণ্ডের শিকার।
স্পেনে নারীর প্রতি সহিংসতার বিরুদ্ধে লড়াইকে জাতীয় অগ্রাধিকারের বিষয়ে পরিণত করা হয়েছে। গতকাল স্পেনের মাদ্রিদ ও বার্সেলোনার রাস্তায় বেগুনি পতাকা হাতে নিয়ে বিক্ষোভ করেন হাজারো মানুষ।
স্পেনের রাজধানীতে বিক্ষোভকারীদের মুখে ছিল বেগুনি রঙের মাস্ক। এ ছাড়া একই রঙের টুপি ও স্কার্ফে ঢাকা ছিল তাঁদের মাথা। তাঁদের হাতে থাকা ব্যানারে লেখা ছিল, ‘নারীর প্রতি সহিংসতার এখন সমাধান চাই’।
স্পেনের বিভিন্ন ভবনও বেগুনি রঙে সাজানো হয়েছিল। এসব ভবনের সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভকারীরা স্লোগান দেন, ‘আমাদের সবাই এখানে নেই, নিহত ব্যক্তিরা তো আর উপস্থিত হতে পারেননি।’ তাঁদের হাতে থাকা প্ল্যাকার্ডে লেখা ছিল, ‘আর একটি মৃত্যুও চাই না’।
জাতিসংঘের আঞ্চলিক কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, লাতিন আমেরিকা ও ক্যারিবীয় অঞ্চলে ২০২০ সালে কমপক্ষে ৪ হাজার ৯১ জন নারী জেন্ডারভিত্তিক সহিংসতার শিকার হয়ে মারা গেছেন।
জাতিসংঘের লৈঙ্গিক সমতাবিষয়ক সংস্থা ইউএন উইমেনের তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বে প্রতি তিনজন নারীর মধ্যে একজন শারীরিক কিংবা যৌন সহিংসতার শিকার হন।
সুত্রঃ প্রথম আলো
4 comments
সারা বিশ্বে একই দৃশ্য নারী নির্যাতন ও নিপীড়ন, সবার এই আন্দোলনে এগিয়ে আসতে হবে। রুখে দাড়াতে হবে সামাজিকভাবে
আল্লাহ নারীদের সঠিক জ্ঞান দান করুন। দ্বীনের পথে চলার তৌফিক দান করুন।আর জালেমদের হাত থেকে রক্ষা করুন।
আল্লাহ মাদ্রাসার মোল্লাদের নারী বিদ্বেষ ত্যাগ করার তৌফিক দান করুক
Ai Andolan Bangladesh a hoile police bada dito ebong kou eksho Mamla hoto