অভাবে পড়ে ১৮ দিন বয়সী কন্যাশিশুকে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে এক দরিদ্র বাবার বিরুদ্ধে। অবিশ্বাস্য এই ঘটনাটি ঘটে পিরোজপুরের নেছারাবাদ উপজেলার দুর্গাকাঠি গ্রামের। ওই বাবার নাম পরিমল ব্যাপারী (৫৫)। তার স্ত্রী নাম কাজল ব্যাপারী। পরিমল শহুরে এক নিঃসন্তান দম্পতির কাছে শিশুটিকে বিক্রি করেন।
তবে যে পরিমাণ টাকা পাওয়ার কথা ছিল, তা তিনি পাননি। এক প্রতারক চক্র তাদের সন্তান বিক্রির সিংহভাগ টাকা নিয়ে যায়। একপর্যায়ে বিষয়টি জানাজানি হলে ওই শিশুকে উদ্ধার করে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (২০ জানুয়ারি) রাতে নেছারাবাদ থানা–পুলিশের একটি দল ওই দম্পতিকে খুঁজে বের করে ঢাকা থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করে। এরপর গতকাল শুক্রবার (২১ জানুয়ারি) শিশুটিকে তার মা–বাবার কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: আওনা ইউনিয়নে একটি রাজাকারও জন্মগ্রহণ করেনি: মুরাদ
পরিমল ব্যাপারী বলেন, ‘আমার কোনো জায়গাজমি নেই। অন্যের ঘরে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে বাস করি। কিছুদিন আগে আমার স্ত্রী একটি কন্যাসন্তানের জন্ম দেন। এরপর উপজেলার দুর্গাকাঠি গ্রামের বিজন হালদার ও রনজিত কুমার আমার তাকে বলেন, মেয়েটিকে এক নিঃসন্তান দম্পতির কাছে দত্তক দিলে ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা দেবেন। মেয়েটিও সেখানে ভালো থাকবে। অভাবের কারণে আমি শিশুটিকে দত্তক দিতে রাজি হই।’
পাঁচ সন্তানের মা কাজল বলেন, ‘গাড়িতে করে একটি বড়লোক পরিবার আসেন। তারা বিজনের কাছে টাকা দেন। এরপর আমার বাচ্চাটি নিয়ে যান। বিজন আমাদের শুধু ১০ হাজার টাকা দিয়েছে।’
চ্যালেন ২৪ ডট কম