পাবনার বেড়ায় মোবাইলে গজল শোনার অপরাধে এক মাদরাসার শিশু শিক্ষার্থীকে (১৩) বর্বর নির্যাতনকারী মাদরাসা সুপার রহমত উল্লাহ (২৭) কে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ। তিনি সিরাজগঞ্জ জেলার তাড়াশ থানার কর্নঘোষ পাড়ার জসমত আলীর ছেলে।
মঙ্গলবার (২ ফেব্রুয়ারি) রাতে বেড়া বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
নির্যাতীত শিক্ষার্থী শিহাব বেড়া পৌর এলাকার বৃশালিখার রহিমা খাতুন মদিনাতুল উলুম নুরানী হাফিজিয়া মাদরাসার কিতাব বিভাগের ছাত্র ও পৌর এলাকার স্যানালপাড়া মহল্লার মো. সোহেল রানার ছেলে।
সোমবার (৩১ জানুয়ারি) রাতে এ ঘটনায় অভিভাবক ও স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভ ও নিন্দার ঝড় উঠেছে। এ ঘটনায় মাদরাসা ছাত্রের দাদা আবুল কালাম বাদী হয়ে মঙ্গলবার বেড়া মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ করেন।
উল্লেখ্য, সোমবার রাত সাড়ে দশটার দিকে মাদরাসার আবাসিক রুমে সে তার বন্ধুর মোবাইল নিয়ে গজল শুনছিলেন। এ সময় মাদরাসার প্রধান শিক্ষক রহমত উল্লাহ এসে মোবাইল কেরে নিয়ে তাকে উপর্যপুরি বেত্রাঘাত করতে থাকে। এ সময় সে তার হাতে পায়ে ধরেও আঘাত থেকে রক্ষা পায়নি। সে সময় তাকে শাসিয়ে এ ঘটনা কাউকে না জানাতে বলা হয়। আঘাতের যন্ত্রণায় সে সারা রাত ঘুমাতে না পেরে কান্নাকাটি করতে থাকলে সকালে তার পরিবারের সদস্যরা তাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করেন।
বেড়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অরবিন্দ সরকার বলেন, মাদরাসার ছাত্র শিহাবের নির্যাতনের বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছিলাম। তদন্ত পূর্বক ঘটনার সত্যতা পেয়ে মামলা দায়ের করে মাদরাসার সুপারকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বুধবার আদালতের মাধ্যমে পাবনা জেল হাজতে পাঠানো হবে বলে জানান তিনি।
সুত্রঃ আরটিভি
5 comments
শিক্ষকরা ছাত্রদেরকে শাসন করবে তবে সেটা সীমাবদ্ধতা থাকা উচিত এরকম অমানুষিক নির্যাতন সহ্য করার মতো নয় এসব শিক্ষকদের কারণে বাংলাদেশের অনেক শিক্ষকদেরকে দুর্নাম হতে হয়
অবশ্যই এটা অমানবিক। ইসলাম কখনে এর অনুমতি দেই না। শিক্ষকদেরকে তাদের ভুল বোঝা উচিত।
এসব ছোট মাদ্রাসা বন্ধ করে দিয়ে সরকারের পক্ষ থেকে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে বিদ্যালয়ের মত করে মাদ্রাসাগুলো গঠন করা উচিত, সেখানে সরকারিভাবে হুজুর দিয়ে শিক্ষা দেওয়া দরকার দরকার
এমন শিক্ষকদের শিক্ষাতা করার কোন অধিকার নেই।
শিক্ষক নামধারী এই নরপশুদের যথাযথ বিচার কামনা করছি। পাশাপাশি ছোট ছোট নাবালক শিশু বাচ্চাদের কে আল্লাহপাক হেফাজত করুন।