নারী নির্যাতন মামলায় বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের একজন নায়েককে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। বরিশাল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মঙ্গলবার আসামির জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত। নায়েক আরিফুর রহমান বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার দেহেরগতি ইউনিয়নের আবদুল আজিজ হাওলাদারের ছেলে। তিনি বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের (বিএমপি) পিওএন শাখার নায়েক হিসাবে কর্মরত রয়েছেন।
বাদী জেসমিন জানান, আরিফুর রহমানের সঙ্গে ২০১৩ সালে বিয়ে হয়। তাদের দুটি সন্তান রয়েছে। বিয়ের কয়েক বছর পর থেকেই যৌতুক চেয়ে মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন চালাত। এর বিচার চেয়ে গত বছরের সেপ্টেম্বরে বরিশাল মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে যৌতুক নিরোধ আইনে মামলা করেন। এরপর দাবিকৃত যৌতুক না পেয়ে নভেম্বরে আরিফ আরেকটি বিয়ে করেন। ৭ অক্টোবর আদালতে হাজির হয়ে আসামি আরিফ মামলা থেকে জামিন নেন। জামিন পাওয়ার পরের দিন বাদী জেসমিনের বাড়িতে গিয়ে তাকে মারধর করেন আরিফ। তার পরিপ্রেক্ষিতে বাদী বরিশাল মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আসামির জামিন বাতিলের আবেদন করেন। আদালতের বিচারক নায়েক আরিফুর রহমানের জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। পরে হাইকোর্ট থেকে জামিনে ছিলেন আরিফ। জামিনের মেয়াদ শেষ হলে মঙ্গলবার আবারও জামিনের আবেদন করেন নায়েক আরিফ। কিন্তু আদালতের বিচারক তার আবেদন নামঞ্জুর করে ফের কারাগারে পাঠান। আরিফকে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
সুত্রঃ যুগান্তর
1 comment
নারী নির্যাতন বাংলাদেশে নিয়মিত ঘটনা আইন শৃংখলা বাহিনী সদস্যরাই তো এখন আইন