চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা দুই নারীর মরদেহের সঙ্গে বিকৃতাচারের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় মো. সেলিম (৪৮) নামের এক ডোমকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। সোমবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) তাকে গ্রেফতার করা হয়। অভিযুক্ত সেলিম কুমিল্লা জেলার লাকসাম থানার সাতেশ্বর গ্রামের নোয়াব আলীর ছেলে। তিনি চট্টগ্রাম মহানগরীর বহদ্দারহাট খাজা রোড এলাকায় বাস করেন। গ্রেফতারের পর তার বিরুদ্ধে পাঁচলাইশ থানায় ৩৭৭/১০৯ ধারায় একটি মামলা দায়ের করেছেন সিআইডির উপপরিদর্শক কৃষ্ণকমল ভৌমিক।
সিআইডি চট্টগ্রাম অঞ্চলের বিশেষ পুলিশ সুপার মু. শাহনেওয়াজ খালেদ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, গত বছরের ফেব্রুয়ারি ও এপ্রিল মাসে অপমৃত্যুর শিকার দুই নারীর মরদেহ চট্টগ্রামে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে ময়নাতদন্তের জন্য রাখা হয়েছিল। ওই মরদেহের সঙ্গে বিকৃতাচারে লিপ্ত হন অভিযুক্ত সেলিম মিয়া। ডিএনএ পরীক্ষার সূত্র ধরে এ বিষয়ে নিশ্চিত হওয়ার পর আসামিকে গ্রেফতার করা হয়।
মামলার এজাহার ও সিআইডি কর্মকর্তাদের ভাষ্য অনুযায়ী, ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি ও এপ্রিল মাসে অপমৃত্যুর শিকার দুই নারীর মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছিল। এর মধ্যে এক নারীর মরদেহ মর্গে পাঠানো হয়েছিল ভোরে। ওই মরদেহটি একই দিন দুপুরে ময়নাতদন্ত হয়। মৃত্যুর আগে ওই নারীর সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করেছিল পুলিশ। সেখানে ধর্ষণের আলামত ছিল না। সিআইডির পরীক্ষাগারেও বলপ্রয়োগে ধর্ষণের আলামত মেলেনি। কিন্তু ময়নাতদন্তের পর মরদেহে ধর্ষণের আলামত পাওয়া যায়। একইভাবে এপ্রিল মাসে এক শিশু অপমৃত্যুর শিকার হয়। ওই মরদেহটি এক রাত মর্গে ছিল। পরদিন শিশুর ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। দুই মরদেহের প্রাথমিক সুরতাহাল প্রতিবেদনে ধর্ষণের আলামত ছিল না। কিন্তু পরবর্তীতে ধর্ষণের আলামত পাওয়া যায়। অবিশ্বাস্যভাবে দুই মাসের দুটি স্থানের দুটি ভিন্ন মরদেহে একই ডিএনএ নমুনার সন্ধান পান ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা।
দুইটি ভিন্ন মাসে, ভিন্ন সময়ে, ভিন্ন নারীর মরদেহে একই ডিএনএর উপস্থিতির বিষয়ে সিআইডি অনুসন্ধান শুরু করে। অনুসন্ধান পর্যায়ে সিআইডি নিশ্চিত হয়, দুই মরদেহ ময়নাতদন্তের আগে মর্গে সংরক্ষিত ছিল। ওই সময় মর্গে ছিলেন ডোম মো. সেলিম। এরপর সেলিমকে সন্দেহের আওতায় নিয়ে তদন্ত শুরু করে সিআইডি। শেষে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সেলিম সিআইডির কাছে দুই মরদেহের সঙ্গে বিকৃতাচারের বিষয়টি স্বীকার করেন বলে জানান এসএসপি মু. শাহনেওয়াজ খালেদ।
এর আগে ২০২০ সালে ঢাকার সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে এমন ঘটনা ঘটেছিল। ওই ঘটনায় শেরেবাংলানগর থানায় একটি মামলা হয়েছিল। ঢাকার ঘটনার পর চট্টগ্রামের মর্গেও মরদেহের সঙ্গে এমন ঘটনায় পুলিশ কর্মকর্তারা বিস্মিত।
সুত্রঃ বিডি২৪.কম
8 comments
খুব দুঃখজনক বিষয় মানুষের চিন্তা-ভাবনা আজ কোথায় গিয়ে ঠেকেছে। মরার পরও নারীর শান্তি নাই আমার মনে হয় এর চাইতে নিকৃষ্ট কোন কাজ আর হয় না
আমাদের দেশে নারীদের জন্য নারী ডোমের ব্যবস্থা করা হউক তাহলে আর এধরনের ঘটনা ঘটবেনা
এই মানুষরুপী জানোয়ারের কঠিন বিচার করা হোক কারণ মৃত্যু ব্যক্তির সাথে এমন কাজ করেছে সুযোগ পেলে অন্য মেয়েদের সাথে এমন করবে না তার গ্যারান্টি কি
12
নারীদের বেঁচে থেকে শান্তি নাই মরেও শান্তি নাই আমাদের কে দিবে সুরক্ষা
এই ডোম মানুষিকভাবে অসুস্থ। সুস্থ মানুষ এমন কাজ কোনোদিনও করবে না। সম্ভব ও না । মানুষিক চিকিৎসা করানো দরকার। আল্লাহ সবাইকে সুস্থ মন মানুষিকতা দান করুন। পর্ণ ভিডিওগুলো এর জন্য দায়ী।
ইসলাম জীবিত এবং মৃত উভয়কে মাহরাম ছাড়া দেখা নিষেধ করেছেন। তাই মৃত মহিলাদের জন্য আলাদা ডোম এবং মহিলাদের ট্রেনিং এর মাধ্যমে ডোমের কাজ করানো উচিত।
এই টা তো মানুষ না জানোয়ার চেয়ে নিৎকৃষ্ট আল্লাহ এদের ধংস করে দাও।
মৃত্যুর পরেও একটা মেয়ে নিরাপদ নয়। মানুষের মানবতা আজ কোথায় ? ঐ জানোয়ারের কঠিন শাস্তি চাই