শেরপুরের শ্রীবরদীতে এক দিন মাদ্রাসায় না যাওয়ায় ছাত্রকে বেত দিয়ে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে শিক্ষকের বিরুদ্ধে। আর এ ঘটনায় শ্রীবরদী থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে। মারধরের ঘটনার পর থেকে শিক্ষক আমানুল্লাহ পলাতক রয়েছে।
পিঠে ও হাতে কালসিটে দাগ পড়ে যাওয়া ওই কিশোর জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
শ্রীবরদী উপজেলার খড়িয়াকাজীরচর ইউনিয়নের পূর্ব খরিয়া গ্রামের নূর হেরা নূরানী তালিমুল কোরআন হাফেজিয়া মাদ্রাসায় সোমবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।
ওই ছাত্রের বাবা বলেন, ‘আমার ছেলে নিয়মিত মাদ্রাসায় যেত। পারিবারিক সমস্যার কারণে এক দিন যায়নি। সোমবার মাদ্রাসায় যাওয়ার পর দুপুরে সহকারী শিক্ষক মো. আমানুল্লাহ আমার ছেলেকে তার ঘরে ডেকে নিয়ে বেত দিয়ে বেধড়ক পেটান।
‘তিনি আমার অসুস্থ ছেলেকে হাসপাতালে না নিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দেন। শরীরের জখম দেখে আমি তাকে রাতে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যাই। আমি মামলা করব। এমন শিক্ষকের বিচার চাই।’
এই বিষয়ে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী আসিফুল ইসলাম বিজয় বলেন, হুজুর আমারে অনেক মার দিছে। আমি হুজুরের পা ধরেও বলছি আমারে মাইরেন না, তারপরও মারা বাদ দেই নাই। এক পর্যায়ে আমাকে বুকে লাথি মারে।
শেরপুর জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার( সদর সার্কেল) মোহাম্মদ হান্নান মিয়া বলেন, মাদ্রাসা ছাত্র আসিফের বাবা খলিলুর রহমান খোকন বাদী হয়ে আজ সকালে ওই মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক মো. আমানুল্লাহকে আসামী করে মামলা দায়ের করেছে। আমরা ঘটনা শোনার পর বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়েছি। আর আসামীকে ধরার জন্য আমাদের অভিযান অব্যহত থাকবে।
সুত্রঃ দৈনিক ইনকিলাব
7 comments
বাচ্চাটিকে যেভাবে মারছে এত মারা যাবার সম্ভাবনা ছিল এই শিক্ষককে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক
ভালো শিক্ষক বা হুজুরা ছাত্রকে এভা মারধর করতে পারে না। ও কিসের শিক্ষক একটি কসাই, এই হুজুরের আমি দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি চাই
শিশুদের এভাবে মারা কোন ভাবে জায়েজ নয়, সকল নির্যাতনকারি শিক্ষকের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হোক
সরকারের মাদ্রাসা শিক্ষাব্যবস্থার প্রতি আরো নজরদারী বাড়াতে হবে।
এরকম জঘ্যন ঘটনা বাংলাদেশে প্রায় মাদ্রাসায় অহরহ ঘটছে। সরকারের উচিত এসব বিষয়ে আরো অবগত হওয়া ও সঠিকভাবে আইনের প্রয়োগ করা
আমি একজন মাদ্রাসাশিক্ষার্থী, প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে বলছি, মাদ্রাসা শিক্ষার্থীরা প্রায়ই অতিসামান্য বিষয় নিয়ে ও এই ধরনের শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়ে থাকে। অচিরেই এই ব্যাপারে আইনী পদক্ষেপ নেওয়া। উচিত।
আপনি ঠিক বলছেন বিভিন্ন প্রত্রিকার তথ্যের ভিত্তিতে বলছি মাদ্রাসার ছাত্ররা সামান্য কারণে শারিরীক ও যৌন নির্যাতনে শিকার হয়। যা মোটেই সমীচীন নয়