ভারতে নারীর ওপর যৌন সহিংসতা সবচেয়ে বেশি ঘটে রাজধানী শহর দিল্লিতে। এ শহরে প্রতিদিনই ধর্ষণের শিকার হয় এক বা একাধিক নারী। ফলে নারীদের জন্য দেশের সবচেয়ে অনিরাপদ ও অরক্ষিত শহর হয়ে উঠেছে দিল্লি। অপরাধের তথ্য-উপাত্ত সংরক্ষণ বিষয়ক ভারতের সরকারি সংস্থা ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরোর (এনসিআরবি) সবশেষ এক রিপোর্টে এসব তথ্য উঠে এসেছে। ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম টাইমস নাউ এ খবর দিয়েছে।
তথ্য মতে, ২০২১ সালে নারীদের বিরুদ্ধে যৌন সহিংসতার ১৩ হাজার ৮৯২টি মামলা হয়েছে। আগের বছর এ সংখ্যা ছিল ৯ হাজার ৭৮২। অর্থাৎ মাত্র এক বছরের ব্যবধানে মামলার সংখ্যা বেড়েছে ৪০ শতাংশের বেশি।
এনসিআরবির তথ্য অনুযায়ী, গত বছর (২০২১) প্রতিদিন দুজন করে নাবালিকা ধর্ষণের শিকার হয়েছে। নারীদের বিরুদ্ধে সংঘটিত অপরাধে ১৯টি মহানগরীতে হওয়া মোট মামলার ৩২.২০ শতাংশই হয়েছে দিল্লিতে। ২০২১ সালে মহানগরগুলোতে এ ধরনের মোট মামলার সংখ্যা ছিল ৪৩ হাজার ৪১৪।
নারীদের বিরুদ্ধে যৌন সহিংসতায় দিল্লির পরই রয়েছে বাণিজ্যিক রাজধানী হিসেবে পরিচিত মুম্বাই। শহরটিতেহ এ ধরনের মামলা হয়েছে ৫ হাজার ৫৪৩টি। তৃতীয় স্থানে রয়েছে বেঙ্গালুরু। এখানে মামলা নথিভুক্ত হয়েছে ৩ হাজার ১২৭টি।
যৌন সহিংসতার পাশাপাশি নারী অপহরণ, স্বামীর নির্যাতন ও নাবালিকা ধর্ষণের ঘটনাও সবচেয়ে বেশি রাজধানী দিল্লিতে। রাজধানীতে গত বছর নারী অপহরণের মামলা হয়েছে ৩ হাজার ৯৪৮টি।
এ ছাড়া স্বামীর নির্যাতন ও নাবালিকা ধর্ষণের ঘটনার মামলা হয়েছে যথাক্রমে ৪ হাজার ৬৭৪টি ও ৮৩৩টি। ২০২১ সালে এ মহানগরে দিনে দুজন করে নাবালিকা ধর্ষণের শিকার হয়েছে।
তবে নারীর জন্য সবচেয়ে বিপজ্জনক শহরের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে মিশরের কায়রো৷ পাকিস্তানের করাচি রয়েছে দ্বিতীয় অবস্থানে৷ ধর্ষণে সবার ওপরে থাকলেও নারীদের জন্য ‘সবচেয়ে বেশি বিপজ্জনক’ শহরের তালিকায় দিল্লীর নাম রয়েছে চারে৷ এ তালিকায় ঢাকার অবস্থান সপ্তম৷ যৌ্ন সহিংসতার বিচারে ‘নারীর জন্য সবচেয়ে নিরাপদ’ হিসেবে নাম এসেছে জাপানের রাজধানী টোকিওর৷
শিক্ষা, ভূমি বা সম্পত্তির মালিকানাসহ অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে প্রবেশাধিকারের আরেকটি তালিকায় দিল্লি রয়েছে তৃতীয় অবস্থানে৷ এ তালিকায় সবার ওপরে আছে লন্ডন৷
সুত্রঃএসিবি (রয়টার্স), বাংলাদেশ প্রতিদিন