ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার বড়গা এলাকায় একটি মাদরাসার এক ছাত্রকে বলাৎকারের অভিযোগ উঠেছে মাদরাসার এক হুজুরের বিরুদ্ধে।
শনিবার (১০ সেপ্টেম্বর) সকালে ফরিদপুর জেলা পরিষদের সদস্য ও শেখর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে এ ঘটনা নিয়ে শুক্রবার (৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে উপজেলার বড়গা বাজারের ব্যবসায়ী মো. সহিদুল ইসলামের ঘরে এক শালিস বৈঠক বসে। ওই শালিস বৈঠকে হুজুর উপস্থিত না হওয়ায় আগামী সোমবার (১২ সেপ্টেম্বর) আবার শালিসের তারিখ নির্ধারণ করা হয়।
শালিসে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলার শেখর ইউনিয়র সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা পরিষদ সদস্য আবুল কালাম আজাদ, বোয়ালমারী সরকারী কলেজের সাবেক ছাত্র নেতা জাহাঙ্গীর আলম মুকুল, রবি শরীফ, মোস্তফা কাজী, সহিদুল ইসলাম, নজরুল মোল্যা, আলিম মোল্যা, সুরুজ মোল্যা, বাবলুসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পার্শ্ববর্তী আলফাডাঙ্গা উপজেলার আমডাঙ্গা গ্রামের মো. আরিফ বিল্লাহ গত ৬ মাস আগে বড়গা একটি মাদরাসায় ও দিঘিরপাড় জামে মসজিদে চাকুরী নেয়। গত রমজান মাসে মাদরাসার এক ছাত্রকে বলাৎকার করে বলে অভিযোগ উঠে। পরে কুরবানির ঈদের আগে আবার দিঘিরপাড় মসজিদের ভেতরে নিয়ে ওই ছাত্রকে বলাৎকার করে স্থানীয়দের দাবী। পরে বলাৎকারের ঘটনা সম্প্রতি ওই ছাত্র ফাঁস করলে এলাকায় আলোচনা সমালোচনার ঝড় উঠে। ঘটনা জানাজানি হলে মাদরাসার ৭০ হাজার টাকা নিয়ে গত বৃহস্পতিবার (৮ সেপ্টেম্বর) অভিযুক্ত ওই হুজুর পালিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে অভিযোগ উঠা মো. আরিফ বিল্লাহ নামের ওই মাদ্রাসার হুজুরের সাথে যোগাযোগ করা হলেও পলাতক থাকায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
তবে আরিফ বিল্লাহর পরিবার এটাকে ষড়যন্ত্র ও মিথ্যা দাবী করেন।
বোয়ালমারী থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ আব্দুল ওহাব বলেন, বলাৎকারের ঘটনা শুনেছি। পুলিশের নজরদারি আছে। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সুত্রঃ আজকের খবর