চট্টগ্রামের কর্ণফুলীতে মাদ্রাসাছাত্রকে যৌন নিপীড়নের মামলায় শিক্ষককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার মোহাম্মদ রিফাত উদ্দিন (২৩) নামের ওই শিক্ষককে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
রিফাত উদ্দিন কক্সবাজার জেলার ঈদগাঁ গ্রামের নুরুল আজিমের ছেলে এবং কর্ণফুলী উপজেলার চরপাথরঘাটা ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের আহম্মদ ছফা দারুল কুরআন ওয়াসসুন্নাহ মাদ্রাসার শিক্ষক হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।
গত ২২ আগস্ট ভুক্তভোগী মাদ্রাসাছাত্রের মা নুরতাজ বেগম বাদী হয়ে কর্ণফুলী থানায় একটি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় রোববার সন্ধ্যায় উপজেলার মইজ্জ্যারটেক এলাকা থেকে ওই শিক্ষককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ২১ আগস্ট দিবাগত রাতে ১২ বছর বয়সী এক ছাত্রকে মাদ্রাসার রান্না ঘরের কক্ষে ডেকে নিয়ে যৌন নিপীড়ন করেন অভিযুক্ত ওই শিক্ষক। এসময় অপর শিক্ষক কেফায়েত হেফজখানার অন্যান্য ছাত্রদের পড়ানোর জন্য ঘুম থেকে উঠানোর জন্য ডাকাডাকি করলে তিনি ছাত্রটিকে ছেড়ে দেন। পরদিন সকালে ছাত্ররা নিজেদের মধ্যে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করলে ঘটনা জানাজানি হয়। পরে ওই শিক্ষক কৌশলে মাদ্রাসা থেকে পালিয়ে যান।
কর্ণফুলী থানার ওসি দুলাল মাহমুদ জানান, এ ঘটনায় ছাত্রের মা বাদী হয়ে রিফাতকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করেন। মামলা দায়েরের পর রিফাত পলাতক ছিল। তাকে গ্রেপ্তারের পর আদালতে প্রেরণ করা হলে আদালত তাকে জেলে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
সুত্রঃ দৈনিক সমকাল
4 comments
এই হুজুরের চেহারা যত সুন্দর অন্তরটা ঠিক ততখানি কুৎসিত। মোহাম্মদ রিফাত উদ্দিন (২৩) নামের ওই শিক্ষককের কঠিন শাস্তি দাবি করছি
এই হুজুরকে কঠিন শাস্তি দেয়া হোক তবে দেশের সব হুজুর তবেই ঠিক হবে। মাদ্রাসা পরিচালক ও পারিবারিক অভিবাবকদের আরো সচেতন হতে হবে।
সারা বাংলাদেশের যত কওমী মাদ্রাসা আছে প্রত্যকটা মাদ্রাসায় এসব বলাৎকার কার্যক্রম অব্যাহত। প্রত্যকটা নিউজেই তার প্রমাণ। কারণ এসব মাদ্রাসার হুজুর বা শিক্ষকদের জন্য আজ মানুষ মাদ্রাসার দিকে আংগুল তুলে। এসব কওমী মাদ্রাসায় অবিলম্বে সিসিটিভির আওতাভুক্ত করা হোক
ইসলাম ধর্মে সমকামীতা অপরাধ। আমি এই শিক্ষককের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি দাবি করি, যাতে করে মাদ্রাসা শিক্ষকদের হুশ হয়