নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে অপহরণের পর ধর্ষণ ও ভিডিও ধারণের ঘটনায় ধর্ষকের শাস্তির দাবিতে কান্নায় ভেঙে পড়েছেন ভুক্তভোগীর মা। এ সময় তিনি ধর্ষকের সর্বোচ্চ শাস্তি ও মেয়ের নিরাপত্তার দাবি জানান।
মঙ্গলবার (০৪ অক্টোবর) দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি। এ সময় ভুক্তভোগীর মা বলেন, আমার স্বামী প্রবাসে থাকে। একমাত্র মেয়ে কলেজে পড়ে। কলেজ থেকে আমার মেয়েকে তুলে নিয়ে যায় বসুরহাট পৌরসভার ৩ নং ওয়ার্ডের করালিয়া গ্রামের মৃত রুস্তম আলীর ছেলে মো. নুর আলম প্রকাশ। তারপর ধর্ষণ ও ভিডিও ধারণ করছে সে।
ভুক্তভোগীর মা আরও বলেন, আরিফ তাকে ২০১৯ সাল থেকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসছিল এবং বিভিন্ন সময় উত্ত্যক্ত করত। ২০১৯ সালের ৯ জানুয়ারি আমি কোম্পানীগঞ্জ থানায় অভিযোগ জমা দিলে আর বিরক্ত করবে না বলে ৩০০ টাকার স্টাম্পে স্বাক্ষর করে। কিন্তু গত ২৫ মে মেয়েকে অপহরণ করে।
মেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করছে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, আমার মেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে কয়েকবার। সামজিকভাবে আমরা হেয় হচ্ছি। আজ চার মাস পেরিয়ে গেলেও কোনো বিচার পেলাম না। আমি অপরাধীর সর্বোচ্চ শাস্তি চাই।
ভুক্তভোগী তরুণী বলেন, আমার ছোট ভাই ও মাকে অপহরণ করবে বলে আমাকে ভয় দেখায়। জোর করে কাগজে স্বাক্ষর নেয়। আমাকে ধর্ষণ করে এবং পিল খাওয়ায়। কিন্তু রিপোর্টে এসব আসেনি। আমি ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হচ্ছি।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাদেকুর রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, মামলা তদান্তাধীন রয়েছে। আমাদের সার্কেল স্যার নিজেই বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখছেন। তিনি ভুক্তভোগীর সঙ্গে কথাও বলেছেন। আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. আকরামুল হাসান ঢাকা পোস্টকে বলেন, আইনের চোখে সবাই সমান। আমি মেয়ে ও তার পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছি। আগামীতে মেয়ের বাড়িতে গিয়ে তদন্ত করব।
সুত্রঃ ঢাকা পোষ্ট