সিলেটের গোলাপগঞ্জে চাকরির প্রলোভনসহ বিভিন্ন অজুহাতে প্রতারণা করে প্রায় অর্ধকোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে সপরিবারে গা-ঢাকা দিয়েছেন রতন মনি দাশ (৩৫) নামের এক নব্য সাধু। তিনি উপজেলার লক্ষিপাশা ইউনিয়নের ঘোষগাঁও গ্রামের রঞ্জিত দাশের ছেলে।
এ ঘটনায় গোলাপগঞ্জ মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরীও করেছেন এক ব্যবসায়ী।
কোর্টের মুহরি প্রতারক রতনের প্রতিবেশী নিতাই দাশের অভিযোগ, চাকুরীর প্রলোভন দেখিয়ে বোনের দেড় লাখ টাকা এবং আমার ৭০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেন রতন। কিছুদিন ধরে তার মোবাইল বন্ধ পেয়ে খোঁজ নিয়ে জানতে পারি শুধু আমার নয়, তার আপন চাচাতো ভাই-বোন, ফুফাতো ভাই-বোন এবং গ্রামের একাধিক বন্ধু, পরিচিত লোকদের লোভনীয় চাকরির অফার দিয়ে নগদ কয়েক লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নিয়ে গা ঢাকা দিয়েছেন রতন।
এলাকার প্রতারণার স্বীকার লোকজন জানান, প্রতারক রতন দাশ এনজিও প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতেন। পাশাপাশি মালা, তিলক পরে টিকি ধরে একজন নব্য সাধু হিসাবে এলাকায় পরিচিত হয়ে উঠেন। এই সুবাদে অনেকের সঙ্গে তার পরিচয় গড়ে উঠে। রতন এই পরিচয়কে পুঁজি করে বিভিন্ন শিক্ষিত বেকার যুবকদের চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে বিপুল পরিমাণ টাকা হাতিয়ে নেন। তার প্রতারণা থেকে বাদ যায়নি তার নিকটাত্মীয় স্বজনসহ প্রতিবেশীরাও।
গোলাপগঞ্জ বাজারের সিঙ্গার প্লাস শো রুম থেকে প্রায় ৭০টি ল্যাপটপ নিয়ে দুই সপ্তাহ ধরে তিনি লাপাত্তা। বর্তমানে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন রয়েছে বন্ধ।
এদিকে রতনের স্বজনদের দাবি, রতন মনি সম্প্রতি ট্রেনিংয়ের কথা বলে ঢাকায় গেছেন। তার সঙ্গে তার স্ত্রী সন্তানদেরও নিয়ে গেছেন। স্বজনদের সঙ্গেও কোনো যোগাযোগ নেই। এ ব্যাপারে গোলাপগঞ্জ মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি হয়েছে।
গোলাপগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম জানান, রতনের বিরুদ্ধে আত্মসাৎ, প্রতারণার অনেক অভিযোগ রয়েছে। সপরিবারে গা ঢাকা দেয়ায় এসব অভিযোগ রহস্যের সৃষ্টি করেছে। পুলিশ অভিযোগ তদন্তের পাশাপাশি রতন ও তার পরিবারের সন্ধানে রয়েছে।
সুত্রঃ দৈনিক যুগান্তর
8 comments
ধর্মকে পূঁজি করে এরা প্রকৃত ধর্মের সর্বনাশকারী এরকম ভন্ড সাধু আপনার আশেপাশে অনেক ঘুরাঘুরি করে। তাঁদের থেকে সাবধান
তোমরা যারা সুশীল প্রগতিশীল ও মুক্তমনা বলে নিজেকে দাবী করো তারা হুজুরদের একটু অন্যায় পেলেই কাঠ মোল্লা থেকে শুরু করে তাদের চৌদ্দগুষ্ঠি উদ্ধার করে ফেলো তারা এই সাধু ব্যাপারে কিছু না লিখলে তো হবে না
এই দেশে যত অপকর্ম কী ধর্মের নামেই করা লাগবে?
Vogoban & debotader sakkhat petey gasen hoyto, sadhoo jokhon, hoyto sakkhat sesey fera asben, passion.
মুখ দেখে হায়, করো না যাচাই, সাধু আর শয়তানে এ ভাই ,দুনিয়ায় চলিছে লড়াই , কে সাধু , কে শয়তান ,কিছুই বোঝা যায় না
যাহারা চাকুরীর জন্য টাকা দিয়েছেন , তাহারা এত বোকা কেন দেওয়ার আগে কেন খোঁজ খবর নেন নাই , নেওয়া উচিত ছিল , এই সাধু এমন কি বড় চাকুরী করত যে সে বেকার লোকদেরকে চাকুরী দিবে । যাহারা টাকা দিয়েছে আসে পাশের লোকজন তাহারা তো অবশ্যই জানত বা অবগত ছিল সে কি করে।
Boro dadara khali hujurder vhul khuje. Ai dike shadhu baba tk are boudider niye vege jai…tate konu dosh nai.
সব অপরাধই নাকি দাড়িটুপিওআলারাই করে অন্য ধর্মের লোকজন নাকি সাধু । তো সাধুর আবার এমন কাজ কেন?