শেরপুরে নবম শ্রেণির এক স্কুল ছাত্রীকে (১৪) ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে এক ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে। এ ঘটনার পর শনিবার (১৫ অক্টোবর) রাতে ভুক্তভোগীর মা বাদি হয়ে সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করলে গা ঢাকা দিয়েছেন অভিযুক্ত ইউপি সদস্য।
রোববার (১৬ অক্টোবর) জেলা সদর হাসপাতালে ভিকটিমের ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে।
ওই ইউপি সদস্যের নাম আরিফুল ইসলাম আরিফ (৩৩)। তিনি সদর উপজেলার পাকুড়িয়া ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বর্তমান সদস্য এবং পাকুড়িয়া খামারপাড়া এলাকার মো. আলাল উদ্দিনের ছেলে।
ভুক্তভোগীর পরিবার ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, প্রতিবেশি ও জনপ্রতিনিধি হওয়ার সুবাদে ইউপি সদস্য আরিফ নবম শ্রেণির ওই স্কুল ছাত্রীর বাড়িতে আসা-যাওয়া করতেন। এক পর্যায়ে ওই স্কুলছাত্রীর ওপর আরিফের নজর পড়ে। বিষয়টি সে তার বাবা-মাকেও জানায়। এক পর্যায়ে গত ১১ অক্টোবর রাতে আরিফ গোপনে ওই স্কুল ছাত্রীর বাড়িতে প্রবেশ করে তার মুখ বেঁধে তাকে ধর্ষণ করে।
পরে ঘটনার বিষয়ে স্কুল ছাত্রী তার বাবা-মাকে জানালে তারা মামলা করতে চাইলে প্রভাবশালীদের ইন্ধনে ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। বিষয়টি পুলিশের কানে গেলে পুলিশ ভুক্তভোগীর মাসহ অভিভাবকদের থানায় নিয়ে এসে বিস্তারিত শুনেন।
পরে ওই ঘটনায় শনিবার রাতে ভুক্তভোগীর মা বাদী হয়ে ইউপি সদস্য আরিফের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা দায়ের করেন। মামলায় ধর্ষণের সহযোগী হিসেবে মো. চাঁন মিয়া নামে আরও একজনকে আসামি করা হয়েছে।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বছির আহমেদ বাদল জানান, স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। রোববার জেলা সদর হাসপাতালে ভিকটিমের ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। অভিযুক্তকে ধরতে পুলিশের জোরালো অভিযান চলছে।
সুত্রঃ একাত্তর নিউজ