চট্টগ্রামের চন্দনাইশে নবম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে মো. ফয়সাল (২৩) নামে এক মাদ্রাসাশিক্ষককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ফয়সাল বাঁশখালীর পশ্চিম চাম্বল গ্রামের শফিউল আলমের ছেলে এবং চন্দনাইশের ধোপাছড়ি তৈয়বিয়া ছাবেরিয়া আজিজিয়া সুন্নিয়া দাখিল মাদ্রাসা ও এতিমখানার শিক্ষক।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ধোপাছড়ি তৈয়বিয়া ছাবেরিয়া আজিজিয়া সুন্নিয়া দাখিল মাদ্রাসা ও এতিমখানার হেফজ বিভাগের শিক্ষক মো. ফয়সাল ওই মাদরাসার ৯ম শ্রেণির ১৬ বছরের এক ছাত্রীর সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। এরই ধারাবাহিকতায় গত ২১ সেপ্টেম্বর দুপুরে মোবাইল ফোনে ওই ছাত্রীকে তার শয়নকক্ষে ডেকে নিয়ে যান এবং বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করেন।
পরবর্তীতে গত ৬ অক্টোবর রাতে মাদরাসার বারান্দায় গেলে কতাবার্তার এক পর্যায়ে তাকে আবারও কুপ্রস্তাব দেন শিক্ষক ফয়সাল। এসময় ওই ছাত্রীর চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে শিক্ষক ফয়সাল পালিয়ে যান।
এ ব্যাপারে ধর্ষিতা ছাত্রীর পিতা গত ৮ অক্টোবর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ এর ৯(১) ধারায় চন্দনাইশ থানার মামলা দায়ের করেন। ওই মামলার আসামি শিক্ষক মো. ফয়সালকে শনিবার বিকেলে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চন্দনাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন। তিনি বলেন, নবম শ্রেণির এক ছাত্রীর সঙ্গে হাফেজ মো. ফয়সালের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। গত ২১ সেপ্টেম্বর রাতে তাকে মাদ্রাসার ভেতরে ডেকে নিয়ে বিয়ের প্রলোভনে একাধিকবার ধর্ষণ করেন ফয়সাল। এরপর ৬ অক্টোবর রাতে ছাত্রীকে আবারও মাদ্রাসায় ডেকে নিয়ে যান তিনি। কথা-বার্তার একপর্যায়ে আবারও কুপ্রস্তাব দেন ফয়সাল। এ সময় ওই ছাত্রী চিৎকার করলে ফয়সাল পালিয়ে যান। পরে অভিযান চালিয়ে চন্দনাইশ থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
সুত্রঃ বাংলাদেশ জার্নাল