পুলিশী হেফাজতে তরুণী মাশা আমিনির মৃত্যুর প্রতিবাদে টানা দু’মাসেরও বেশি সময় ধরে বিক্ষোভের জেরে অবশেষে হিজাব আইন সংস্কারের ইঙ্গিত দিয়েছে ইরান।
দেশটির অ্যাটর্নি জেনারেল শুক্রবার জানিয়েছেন, ইরানে নারীদের বাধ্যতামূলকভাবে হিজাব পরিধান সংক্রান্ত আইনের প্রয়োজনীয় সংস্কার আনতে সংসদ ও বিচার বিভাগ কাজ করছে। তবে আইনে কী পরিবর্তন আনা হচ্ছে, তা পরিষ্কার করে কিছু জানাননি তিনি।
প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি বলেন, ইরানের প্রজাতন্ত্র ও ইসলামিক ভিত্তি সাংবিধানিকভাবে প্রতিষ্ঠিত। তবে সংবিধান বাস্তবায়নের পদ্ধতি নমনীয় হতে পারে বলে ইঙ্গিত দেন।
এএফপির খবরে বলা হয়েছে, ইসলামী বিপ্লবের চার বছর পরে ১৯৮৩ সালে ইরানে হিজাব সংক্রান্ত আইন চালু করা হয়। তখন থেকেই প্রত্যেক প্রাপ্তবয়স্ক নারীকে মাথা ঢেকে হিজাব পরা বাধ্যতামূলক করা হয়। দীর্ঘদিন এ আইন মেনে চললেও সম্প্রতি মাহসা আমিনি নামে এক কুর্দি তরুণীর হিজাব আইনে গ্রেপ্তারের পরে মৃত্যুর ঘটনায় ইরানজুড়ে ব্যাপক বিক্ষোভ শুরু হয়। যা এখনও চলমান।
সম্প্রতি হিজাব আইন লঙ্ঘনের দায়ে গ্রেপ্তারের পর কুর্দি তরুণী মাশা আমিনির মৃত্যুর ঘটনায় দেশজুড়ে ব্যাপক বিক্ষোভ শুরু হয়।
এ ঘটনায় এ পর্যন্ত ৩শ’র বেশি নাগরিক নিহত হয়েছে বলে প্রথমবারের মতো স্বীকার করেছেন ইরানের ইসলামী বিপ্লবী গার্ডের এক শীর্ষ জেনারেল। এ ছাড়া শুধু গত সপ্তাহে শিশুসহ কমপক্ষে ১৪ হাজার মানুষ বিক্ষোভের জেরে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
সুত্রঃ সমকাল