রাজবাড়ী সরকারি কলেজের উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক মো. শাহারিয়ার রহমানের বিরুদ্ধে যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে পিটিয়ে জখম করার অভিযোগে সদর থানায় মামলা হয়েছে। গত ২৯ মার্চ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলাটি করেন অভিযুক্ত শিক্ষকের স্ত্রী।
শনিবার (৮ মার্চ) বিকেলে মামলার বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেন সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন।
অভিযুক্ত শিক্ষক শাহরিয়ার রহমান রাজবাড়ী জেলার পাংশা পৌরসভা এলাকার পারনারায়ণপুর গ্রামের হাবিবুর রহমানের ছেলে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ২০২২ সালের অক্টোবর মাসে বিয়ে করেন শিক্ষক শাহারিয়ার। তার স্ত্রী রাজবাড়ী সরকারি কলেজের অনার্সের শিক্ষার্থী এবং সদর উপজেলার খানখানাপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা। বিয়ের পর থেকেই রাজবাড়ী সরকারি কলেজের পাশেই একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন তারা।
অভিযুক্ত শিক্ষক শাহারিয়ার বিয়ের পর থেকেই তার স্ত্রীর পরিবারের কাছে ১০ লাখ টাকা যৌতুক চেয়ে আসছিলেন। যৌতুক না পেয়ে তার স্ত্রীকে প্রায়ই মারধর করতেন তিনি। গত ২৩ মার্চ স্বামী-স্ত্রী ঢাকায় আত্মীয়ের বাসায় বেড়াতে যান। সেখানে গিয়েও শাহারিয়ার স্ত্রীকে মারধর করে গুরুতর জখম করেন। পরে ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে রাজবাড়ী এসে ২৯ মার্চ সদর থানা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা করেন।
স্ত্রীকে মারধরের বিষয়ে রাজবাড়ী সরকারি কলেজের উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক শাহারিয়ার রহমান বলেন, বিষয়টি পারিবারিক। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে সংসারে একটুআধটু ঝামেলা হয়েই থাকে। এটা স্বাভাবিক। এ বিষয়ে আপনার স্ত্রী মামলা করেছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, হ্যা মামলা করেছে। তবে বিষয়টি পারিবারিকভাবে আপসের চেষ্টা চলছে।
রাজবাড়ী সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ হোসনেয়ারা খাতুন বলেন, মামলার কথা শুনেছি। তবে বিস্তারিত জানি না।
সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন বলেন, শিক্ষকের বিরুদ্ধে স্ত্রীকে মারধরের অভিযোগে মামলা হয়েছে। আমরা মামলাটি গ্রহণ করে আইনগত প্রক্রিয়া শুরু করেছি।
সুত্র: ঢাকা পোষ্ট
