নারায়ণগঞ্জের সদর উপজেলার ফতুল্লার ধর্মগঞ্জ চতলার মাঠ এলাকায় পোশাক কারখার এক নারী শ্রমিককে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় পোশাক কারখানার মালিক আমিনুল হককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বুধবার (১২ এপ্রিল) ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ রেজাউল হক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) দুপুরে ওই এলাকার জিহাদ নীর ফ্যাশন নামের পোশাক কারখানা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। একই দিন সকাল ১১টায় ভুক্তভোগী নারী শ্রমিক বাদী হয়ে ফতুল্লা থানায় আমিনুলকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেছেন।
গ্রেপ্তারকৃত আমিনুল হক (৪৮) ফতুল্লার ধর্মগঞ্জ চতলার মাঠ এলাকার বাসিন্দা। তিনি ওই পোশাক কারখানার মালিক।
মামলায় ভুক্তভোগী নারী উল্লেখ করেন, তিনি ও তার স্বামী জিহাদ নীর ফ্যাশন নামের গার্মেন্টসে শ্রমিক হিসেবে কাজ করেন। প্রায় ৭ মাস আগ থেকেই মালিক আমিনুল প্রতিষ্ঠানের অন্য সকল কর্মচারীদের রাতের ডিউটি থেকে ছুটি দিয়ে দিতেন। কাজ করাতেন ভুক্তভোগী নারীসহ অল্প কয়েকজনকে দিয়ে। গত ৫ এপ্রিল ভোর ৬টায় তাকে কাজের কথা বলে কারখানায় ডেকে আনেন অভিযুক্ত আমিনুল। এরপর অশ্লীল ভাষায় কথা বলেন। এমনকি এ-ও জানায়, আমিনুল ভুক্তভোগী নারীর খাবারের সঙ্গে চেতনানাশক মিশিয়ে অচেতন করে। পরে আমিনুল ভুক্তভোগী নারীকে ভয় দেখিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এরপর তার স্বামীকে হত্যার হুমকি দিয়ে কারখানা থেকে ভুক্তভোগী নারীকে বের করে দেয়। ভয়ে গত কয়েক দিন ভুক্তভোগী নারী চুপ থাকলেও মঙ্গলবার সকালে তার স্বামীকে ঘটনা জানালে পরে স্বামীসহ থানায় গিয়ে মামলা দায়ের করেন।
মোহাম্মদ রেজাউল হক জানান, মঙ্গলবার দুপুরে ধর্ষণ মামলায় পোশাক কারখানার মালিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পরে একই দিন বিকেলে আদালতে পাঠানো হয়। আদালত তাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন।
সুত্রঃ আরটিভি নিউজ