মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় এক মাদ্রাসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থীকে বলাৎকারের অভিযোগ উঠেছে।
অভিযুক্ত মাদ্রাসা শিক্ষকের নাম মো. শফিউদ্দিন। ৫১ বছর বয়সী এই ব্যক্তি উপজেলার টেঙ্গারচর ইউনিয়নের বড় ভাটেরচর গ্রামের আব্দুল বারেক মুন্সীর ছেলে এবং বড় ভাটেরচর এলাকার মারকাযুল উলূম মাদ্রাসার শিক্ষক।
ভুক্তভোগী এক শিক্ষার্থীর বাবা জানান,তার ১১ বছর বয়সী ছেলে ওই মাদ্রাসার নাজারা বিভাগের শিক্ষার্থী ও আবাসিক ছাত্র। গত শনিবার সকাল ১০টার দিকে তাকে শিক্ষক শফিউদ্দিন তার রুমে ডেকে নিয়ে বলাৎকার করেন। এ ঘটনায় বাচ্চাটি অসুস্থ হয়ে পড়লে বাসায় গিয়ে বাবা-মায়ের কাছে বিষয়টি জানায়।
নির্যাতনের শিকার ওই শিক্ষার্থী জানায়, এর আগেও তার ওপর পাশবিক নির্যাতন চালিয়েছিল ওই শিক্ষক। কিন্তু মাদ্রাসা থেকে বের করে দেয়ার হুমকি দেয়ায় ওই শিক্ষার্থী তখন বিষয়টি কাউকে জানায়নি।
এদিকে এ ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর ওই শিক্ষক কর্তৃক নির্যাতনের শিকার হয়েছে এমন আরও তিনজন শিক্ষার্থী মুখ খুলেছে। তারা জানায়, ঠিক একইভাবে তাদেরও নির্যাতন করেছেন ওই মাদ্রাসা শিক্ষক। বিষয়টি কাউকে জানালে তাদের মেরে ফেলা হবে বলে হুমকি দেয়া হয়।
এ নিয়ে অভিযুক্ত শিক্ষকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে ক্ষমাপ্রার্থনা করেন।
বিষয়টি সম্পর্কে গজারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোল্লা সোহেব আলী বলেন, স্থানীয়দের মাধ্যমে এরকম একটি খবর পেয়ে ওই মাদ্রাসায় পুলিশ পাঠানো হয়। ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর অভিযুক্ত শিক্ষক পালিয়েছেন। তাকে আটকের চেষ্টা করছি। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ লিখিত অভিযোগ দায়ের করেননি।
সুত্রঃ নিউজ বাংলা ২৪.কম