নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জামায়াতুল মুজাহেদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) একজন করেছে এন্টি টেররিজম ইউনিট (এটিইউ)। গ্রেপ্তারকৃতের নাম মো. আনারুল ইসলাম (৩০)।
আশুলিয়া থানাধীন জিরাবো ম্যাগপাই বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে শুক্রবার (২৬ মে) রাতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এটিইউর পৃলিশ সুপার (মিডিয়া অ্যন্ড অ্যওয়ারনেস উইং) মোহাম্মদ আসলাম খান বলেন, গ্রেপ্তার আনারুল আশুলিয়ার বিভিন্ন কারখানায় ওয়েল্ডিং মিস্ত্রি হিসেবে গত দেড় বছর নাম পরিচয় গোপন করে পলাতক থেকে সাংগঠনিক কাজ করছিলেন। তিনি দীর্ঘ প্রায় ৮ বছর ধরে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠনটির সদস্য হয়ে বাংলাদেশের অখন্ডতা, সংহতি ও জননিরাপত্তা বিপন্ন করার জন্য সাংগঠনিকভাবে সক্রিয় আছেন।
জিজ্ঞাসাবাদে বানারুল জানান, প্রথমে তিনি হানাফী মাযহাবের তরীকায় নামাজ পড়তেন। পরে মাযহাব পরিবর্তন করে আহলে হাদীস এর তরীকায় নামাজ পড়া শুরু করেন। তখন নীলফামারী ইপিজেড এলাকায় চাকরি করার সময় জেএমবি সদস্য আহিদুলের সাথে তার পরিচয় হয় এবং পরবর্তীতে তার মাধ্যমে জেএমবিতে দীক্ষিত হন।
পুলিশ সুপার বলেন, আনারুল নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জেএমবির সক্রিয় সদস্য হয়ে সংগঠনকে সমর্থন, চাদাঁ প্রদান, পরিকল্পনা, প্ররোচনায় সহায়তা প্রদান করে আসছন। তিনি জেএমবির সদস্যপদ গ্রহন করে তার সহযোগীদের সহায়তায় সমর্থন দিয়ে সংঘবদ্ধভাবে বাংলাদেশের অখন্ডতা, সংহতি ও জননিরাপত্তা বিপন্ন করার জন্য এবং জনমনে আতংকসৃষ্টি, প্রজাতন্ত্রের সম্পত্তির ক্ষতিসাধন ও ধর্মীয় উগ্রবাদ মতাদর্শ প্রচার করে নাশকতামূলক কার্যক্রমে উস্কানি দিয়ে আসছেন।
আসলাম খান বলেন, গ্রেপ্তার আনারুল নীলফামারী সদর থানায় গত বছরের ২৯ মার্চ সন্ত্রাস বিরোধী আইনে দায়ের হওয়া মামলার এজাহারনামীয় এবং অভিযোগপত্রভুক্ত পলাতক আসামী।
২০২১ এবং ২০২২ সালে নীলফামারী সদর থানাধীন ইপিজেড এলাকাসহ বিভিন্ন এলাকায় সন্ত্রাস বিরোধী অভিযান পরিচালনা কালে তার সহযোগী জেএমবি সদস্য আহিদুল, নুর আমীন, ওয়াহিদ, আপেলসহ বেশ কয়েকজনকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী গ্রেপ্তার করে। ওই সময় জেএমবি সদস্য হিসেবে নাম প্রকাশ পেলে আনারুলের সেখান থেকে কৌশলে পালিয়ে ঢাকায় চলে আসেন। তারপর থেকে ঢাকা জেলার আশুলিয়া থানাধীন বিভিন্ন এলাকায় পলাতক থেকে সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছেন।
আনারুলের বিরুদ্ধে আশুলিয়া থানায় সন্ত্রাস বিরোধী আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
সুত্রঃ বাংলাদেশ জার্নাল