বগুড়ার ধুনট উপজেলায় প্রেমের ফাঁদে ফেলে স্কুলছাত্রীকে শ্লীলতাহানি করে সেই ছবি দিয়ে পোস্টার বানিয়ে প্রচারের অভিযোগ উঠেছে এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় শিক্ষক আনিছুর রহমানকে (২৮) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আনিছুর রহমান উপজেলার ছোট এলাঙ্গী গ্রামের লোকমান হোসেনের ছেলে।
রবিবার (১৮ জুন) দুপুরের পর তিন দিনের রিমান্ড চেয়ে ধুনট থানা থেকে তাকে আদালতের মাধ্যমে বগুড়া জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে শনিবার রাতে বগুড়া শহরের কলোনি এলাকার একটি বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। আনিছুর রহমান দীর্ঘদিন ধরে ধুনট পৌর এলাকায় অফিসারপাড়ার একটি ভাড়া বাসায় বিভিন্ন শ্রেণির শিক্ষার্থীদের প্রাইভেট পড়াতেন।
মামলা ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার একটি গ্রামের এক ছাত্রী স্থানীয় সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এ বছর এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছে। প্রাইভেট পড়ার সুবাদে এক সন্তানের জনক শিক্ষক আনিছুর রহমান ওই ছাত্রীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন।
একপর্যায়ে মেয়েটিকে কয়েক দফা অনৈতিক কাজের প্রস্তাব দেন। কিন্তু শিক্ষকের অনৈতিক প্রস্তাবে সাড়া দেয়নি মেয়েটি।
এ অবস্থায় ৪ ফেব্রুয়ারি ওই বাসায় প্রাইভেট পড়া শেষে সকাল ১০টার দিকে আনিছুর রহমান মেয়েটিকে শ্লীলতাহানি করেন এবং কৌশলে সেই দৃশ্য মোবাইল ফোনে তুলে রাখেন। মেয়েটি বাড়িতে ফিরে বিষয়টি তার বাবাকে জানায়।
এতে ক্ষুব্ধ হয়ে আনিছুর রহমান মেয়েটির তোলা নগ্ন ছবি দিয়ে পোস্টার বানিয়ে ৭ জুন এলাকার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, বাসা-বাড়ি ও বৈদ্যুতিক খুঁটির সঙ্গে লাগিয়ে দেয়। এ ঘটনায় ৯ জুন ভুক্তভোগী ওই স্কুলছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে শ্লীলতাহানি ও পর্নোগ্রাফি আইনে আনিছুর রহমানের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর থেকে শিক্ষক আনিছুর রহমান পলাতক ছিলেন।
ধুনট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রবিউল ইসলাম বলেন, প্রাথমিক তদন্তে ঘটনার সত্যতার প্রমাণ পাওয়া গেছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।
সুত্রঃ কালেরকন্ঠ