ভারতের মণিপুরে বিবস্ত্র করে দুই নারীকে হাঁটানো এবং তাঁদের সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় স্থানীয় নারীসমাজ ব্যাপকভাবে ক্ষুব্ধ। অভিযুক্তদের মধ্যে দুজনের বাড়িতে আগুন দিয়েছেন নিজ সম্প্রদায়েরই ক্ষুব্ধ নারীরা। মেইরা পেইবিস বা ‘মণিপুরের মা’ নামে পরিচিত প্রভাবশালী একদল নারী ওই কাজ করেছেন। মেইরা পেইবিস দলের সুমতি নামের এক নারী এএফপিকে বলেন, ‘আমরা নারীর বিরুদ্ধে সহিংসতার নিন্দা জানাই।
এ কারণে চাই অভিযুক্তদের বড় ধরনের শাস্তি হোক। সে জন্যই তাদের বাড়ি পুড়িয়ে দিয়েছি।’
ভারতীয় সমাজ বেশির ভাগ ক্ষেত্রে রক্ষণশীল এবং পুরুষতান্ত্রিক হলেও মৈতৈ সম্প্রদায়ের নারীদের সমাজে সক্রিয় থাকার দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। সমাজে মৈতৈ নারীদের বড় দায়িত্ব সামলানোরও ইতিহাস রয়েছে।
পাহাড়ি উপজাতীয় কুকি সম্প্রদায়ের দুই নারীকে বিবস্ত্র করে মৈতৈ পুরুষদের হাঁটানোর ভিডিও গত বুধবার প্রকাশের পর মেইরা পেইবিস চুপ থাকতে পারেনি। অধিকারকর্মী সুচিত্রা রাজকুমারী (৪২) বলেছেন, ওই ঘটনার নিন্দা করছে উভয় সম্প্রদায়ই। অন্তত একটা বিষয়ে উভয় সম্প্রদায়ই একমত।
মৈতৈ সম্প্রদায়ের প্রভাবশালী নারীদের সংগঠনটি অভিযুক্ত দুজনের বাড়ির দেয়াল ভেঙে ভেতরে খড়ের স্তূপ তৈরি করে তাতে আগুন দেয়।
মণিপুরে বিক্ষোভ ও সহিংসতা শুরু হয় মৈতৈ সম্প্রদায়কে নিয়ে। সম্প্রদায়টি দাবি করেছিল, তাদের ভারতীয় সংবিধানের অধীনে তফসিলি উপজাতি (এসটি) মর্যাদা দেওয়া হোক। কুকি সম্প্রদায় এটি মানতে রাজি নয়। হিন্দু মৈতৈ এবং খ্রিস্টান কুকি ও নাগা সম্প্রদায়ের মধ্যে কয়েক মাস ধরে চলা জাতিগত সংঘাতে এখন পর্যন্ত অন্তত ১২০ জন নিহত হয়েছে।
সূত্র : এএফপি, কালেরকন্ঠ