ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) কেন্দ্রীয় মসজিদের ইমাম মুফতি জালাল উদ্দিনকে আটক করা হয়েছে।
সোমবার (১৬ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়ের শেষমোড় এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ময়মনসিংহ কোতোয়ালি থানার ওসি শাহ কামাল।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, মুফতি জালাল উদ্দিন বাকৃবির পেশ ইমামের দায়িত্বের পাশাপাশি একটি মহিলা মাদ্রাসার দায়িত্ব পালন করতেন। তিনি শেষ মোড়ের জামিয়া হালিমা সা’দিয়া (রা) বালিকা মাদ্রাসার পরিচালনা করতেন। মাদ্রাসাটি এর আগে খেজুরতলায় ছিলো। সেখানেও মুফতি জালাল জামেলা করার কারণে বাসার মালিক মাদ্রাসাটি সরিয়ে নেওয়ার কথা বলেন। পরে মাদ্রাসাটি শেষমোড়ে স্থানান্তর করা হয়।
অভিযোগকারী সামাজিক মান মর্যাদা বিবেচনায় নাম প্রকাশ না করা সত্ত্বে জানান, মেয়েকে ইসলামিক জ্ঞান অর্জনের জন্য মাদ্রাসায় দিয়েছিলেন। কিন্তু আমি কল্পনা করতে পারিনি ইমাম সাহেবে এমন কাজ করতে পারে। এর আগে আমার মেয়ে ইমামের স্ত্রীর কাছে অভিযোগ দিয়েছিলেন। কিন্তু ইমামের স্ত্রী হুমকি দিয়ে আমার মেয়েকে মেরেছিলো। তারা আমার মেয়েকে আটকে রেখে। তাকে বাসায় আসতে দিতো না। আমরা মনে করেছিলাম পড়ালেখার জন্য হয়তো বাসায় আসছে না। পরবর্তীতে দুই দিন আগে আমার মেয়ের সাথে খারাপ আচরণ করায় এলাকাবাসী জানতে পেরে তাকে আটকে রাখে। আমি এই ঘটনার বিচার দাবি করছি।
এ বিষয়ে মসজিদ কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড. আলী আশরাফ বলেন, ইমামের বিরুদ্ধে এর আগেও অভিযোগ এসেছিল। কিন্তু সেটি লিখিত না হয় আমরা কোন ব্যবস্থা নিতে পারেনি। ইমাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে দায়িত্ব পালন করেন। তার বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ দেখবেন। আমরা শুধু এতোটুকুই করব, তার বিরুদ্ধে করা অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়া পর্যন্ত তিনি ইমামতির দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না।
এ বিষয়ে কোতোয়ালি থানার ওসি শাহ কামাল বলেন, ইমামের বিরুদ্ধে মাদ্রাসার এক ছাত্র অভিযোগ (ডায়েরি) করেছিলো। অভিযোগের প্রেক্ষিতে আসামি জালাল উদ্দিনকে আজকে সন্ধ্যায় আটক করা হয়। সন্ধ্যায় কোর্ট বন্ধ থাকায় আগামীকাল তাকে কোর্টে নেওয়া হবে।
সুত্র: দ্যা ডেইলী ক্যাম্পাস