অন্যসব দিনের মতোই ঢাকার একটি দৈনিকে কর্মরত অপরাধ বিষয়ক প্রতিবেদক লিটন হায়দার সংবাদ খুঁজতে সরকারি একটি দপ্তরে বসে কথা বলছিলেন। কিন্তু তার ধারণাতেও ছিল না, একটু পরেই কত বড় একটি সংবাদ তাকে লিখতে হবে।
‘’প্রথমে খবর পেলাম, ঢাকার কোর্ট এলাকায় না কি বোমা হামলা হয়েছে। সেই খবর পেয়ে ঢাকার কোর্ট এলাকায় গেলাম। সেই বিষয়ে যখন খোঁজখবর নিতে শুরু করেছি, একটু পরেই সারা দেশ থেকে একই রকম বোমা হামলার খবর আসতে শুরু করলো। দুপুর গড়াতেই বোঝা গেল, কী ভয়াবহ একটি ঘটনা ঘটে গেছে! এর আগে দেশজুড়ে এরকম একযোগে বোমা হামলার কথা আর শোনা যায়নি,’’বিবিসি বাংলাকে বলছিলেন লিটন হায়দার।
দু’হাজার পাঁচ সালের ১৭ই অগাস্ট বাংলাদেশের ৬৩টি জেলায় একযোগে চালানো ওই বোমা হামলায় দু’জন নিহত আর বহু মানুষ আহত হন। এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে নিজেদের সংঘবদ্ধ উপস্থিতির ঘোষণা করেছিল জঙ্গিরা। সেদিন তারা নিজেদের একটি প্রচারপত্র বা লিফলেটও ছড়িয়ে দিয়েছিল।
এর আগে যদিও জঙ্গি তৎপরতার বিষয়ে বিচ্ছিন্নভাবে তথ্য পাচ্ছিলো আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, কিন্তু এতো বড় হামলা চালানোর মতো সক্ষমতা যে তারা অর্জন করেছে, তা তারা ধারণা করেনি।
তিন বছর আগে বিবিসি বাংলাকে দেয়া একটি সাক্ষাৎকারে কাউন্টার টেরোরিজম এন্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইমের তখনকার প্রধান ঢাকার অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (বর্তমানে পুলিশের অতিরিক্ত আইজিপি) মনিরুল ইসলাম বিবিসি বাংলাকে বলেছিলেন, ”২০০৫ সালের ১৭ই অগাস্ট যখন ৬৩ জেলায় বম্বব্লাস্ট হলো, তখন জঙ্গিরা ছিল খুবই সুসংগঠিত। কারণ এই ধরনের হামলার ইতিহাস পৃথিবীতে নাই। তারা চেয়েছিল, নো ক্যাজুয়ালটির মাধ্যমে নিজেদের জানান দেবে। এতো পরিকল্পিত ও সমন্বিত হামলার ইতিহাস পৃথিবীতে নাই।”
”আমরা দেখেছি, একটা দেশের অধিকাংশ জায়গায়, ৬৪টি জেলার মধ্যে ৬৩টি জেলায় হামলা করার মতো তাদের সাংগঠনিক কাঠামো, সক্ষমতা, গোপন রাখার প্রক্রিয়া – সেগুলো তাদের ছিল,” বলেন তিনি।
যেভাবে জঙ্গি কর্মকাণ্ড শুরু হলো
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং জঙ্গি কর্মকাণ্ড পর্যবেক্ষণ করেন, এমন বিশ্লেষকরা বলছেন, আশির দশক থেকেই বাংলাদেশে জঙ্গিরা সংগঠিত হতে শুরু করে। বিশেষ করে আফগান ফেরত মুজাহিদিন বাংলাদেশিরা এখানে এসে ইসলামী আদলে রাষ্ট্রক্ষমতা নেয়ার জন্য জঙ্গি দল বানাতে শুরু করে।
তবে ১৯৮৬ সালের দিকে ‘মুসলিম মিল্লাত বাহিনী’ নামের একটি জঙ্গি সংগঠনের নাম শোনা যায়, যাদের বেশ কিছু সদস্য ফিলিস্তিনের সদস্য মতিউর রহমানের আস্তানায় পুলিশ অভিযান চালালে বেশ কয়েকজন হতাহত হন এবং মতিউরসহ অনেকেই গ্রেপ্তার হন। গ্রেপ্তারের পর থেকে এই বাহিনী সম্পর্কে আর কোন তথ্য পাওয়া যায়নি।
সোভিয়েত-আফগান যুদ্ধ থেকে ফেরা বাংলাদেশি যশোরের আবদুর রহমান ফারুকী ১৯৮৯ সালের দিকে হরকাতুল জিহাদ আল ইসলামী বাংলাদেশ বা হুজি-বি প্রতিষ্ঠা করেন। কিন্তু সেই বছর তিনি আফগানিস্তানে নিহত হন।
২০০৫ সালের ১৭ অগাস্ট বোমা হামলার পর জঙ্গিবাদ বিরোধী সমাবেশে পুলিশের তল্লাশি
পরবর্তীতে ১৯৯২ সালের দিকে আবদুস সালামের নেতৃত্বে হুজি-বি আবার কর্মকাণ্ড শুরু করে। তবে তাদের কর্মকাণ্ড প্রকাশ্য হতে শুরু করে আরও কয়েক বছর পর থেকে।
জঙ্গি কর্মকাণ্ড পর্যবেক্ষক নূর খান বিবিসি বাংলাকে বলছেন, নব্বইয়ের দশকে আফগানিস্তান ফেরত মুজাহিদিনরা এখানে এসে জঙ্গি সংগঠন তৈরির কাজ শুরু করে। সেই সময় তাদের কর্মকাণ্ড প্রধানত দাওয়াতি কার্যক্রমের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল। অর্থাৎ তারা সংগঠনে লোকজন অন্তর্ভুক্ত করার দিকেই গুরুত্ব দিয়েছিল।
তবে নব্বইয়ের দশকের শেষের দিক থেকে তারা প্রকাশ্য হয়ে উঠতে শুরু করে।
শুরুতে এই বাহিনীটি অনেকটা রাশিয়ানদের বিরুদ্ধে আফগানদের যুদ্ধের মতো রোহিঙ্গাদের পক্ষে আরাকানে যুদ্ধ করার লক্ষ্য নিয়ে কাজ শুরু করেছিল। সেজন্য রোহিঙ্গা সংগঠন রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশন (আরএসও) এবং আরাকান রোহিঙ্গা ন্যাশনাল অর্গানাইজেশন (এআরএনও) সঙ্গে মিলে প্রশিক্ষণ নিতে শুরু করে। সেই সময় রোহিঙ্গাদের জন্য বিদেশ থেকে যেসব তহবিল আসতো, এই জঙ্গি সংগঠন সেখান থেকেও ভাগ পেতো।
কিন্তু রোহিঙ্গা সংগঠনগুলোর সঙ্গে বিরোধ শুরু হলে আরাকান থেকে সরে এসে বাংলাদেশের ভেতরে কর্মকাণ্ড শুরু করে হুজি-বি।
এই সংগঠনের নেতা হয়ে ওঠেন মুফতি আবদুল হান্নান।
মুফতি হান্নান পাকিস্তান থেকে সামরিক প্রশিক্ষণ পেয়েছেন বলে জানা যায়। তিনি পাকিস্তান ও আফগানিস্তান সীমান্তে গিয়ে যুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন। ১৯৯৪ সালে যোগ দিয়ে শুরুতে সংগঠনের প্রচার সংগঠক হিসাবে কাজ করলেও দ্রুতই কেন্দ্রীয় নেতা হয়ে ওঠেন। তার নাম আলোচনায় বেশি আসলেও, এই দলের মূল নেতা ছিলেন মুফতি আব্দুর রউফ।
একাধিক জঙ্গি হামলার ঘটনার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিআইডির আব্দুল কাহার আখন্দ ২০১৭ সালে বিবিসিকে দেয়া একটি সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, মি. হান্নানের বিশেষত্ব হল তিনি সামরিক প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ও নিজে বিভিন্ন জঙ্গি হামলার প্রশিক্ষণ ও পরিকল্পনার সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত থেকেছেন।
মি. আকন্দ বলেছিলেন, “তার বিশেষত্ব তিনি আফগান স্টাইলে বাংলাদেশে ইসলাম প্রতিষ্ঠার তৎপরতা চালাচ্ছিলেন। প্রথমে দেশি বোমা ব্যবহার করলেও পরে পাকিস্তান থেকে গ্রেনেড সংগ্রহ করেন। এছাড়া বোমা বানানো এবং আক্রমণ বিষয়েও তার সামরিক প্রশিক্ষণ ছিল এবং এ নিয়ে প্রশিক্ষণও দিতেন তিনি।”
ব্রিটিশ হাইকমিশনারের ওপর গ্রেনেড হামলা এবং দুজনের মৃত্যুর ঘটনায় ২০১৭ সালে তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়।
বিশ্লেষকদের অনেকেই মনে করেন, বাংলাদেশে জঙ্গিবাদের শুরুটা হয়েছিল হরকাতুল জিহাদের আক্রমণের মধ্য দিয়েই।
১৯৯৯ সালের মার্চে যশোরের উদীচীর একটি অনুষ্ঠানে বোমা হামলা ও ২০০০ সালে গোপালগঞ্জে বোমা পুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টার ঘটনা পর হুজি-বির নামটি বিশেষ আলোচনায় উঠে আসে। কিন্তু তখনো বাংলাদেশের সরকার, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বা গণমাধ্যমে জঙ্গি তৎপরতাকে গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হয়নি।
এরপর ২০০১ সালের জানুয়ারিতে ঢাকায় কমিউনিস্ট পার্টির সমাবেশে বোমা হামলা, সেই বছর রমনায় বাংলা নববর্ষে বটমূলে বোমা হামলা, ২০০৪ সালে ঢাকায় ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরীর ওপর বোমা হামলা এবং ২০০৪ সালেই তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী শেখ হাসিনার ২১ অগাস্টের সমাবেশে গ্রেনেড হামলার জন্য এই দলকে দায়ী করা হয়।
পরের বছর ২০০৫ সালের ২৭শে জানুয়ারি সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এমএস কিবরিয়াকে হত্যার জন্যও দায়ী করা হয় এই জঙ্গি দলকে।
লিটন হায়দার বলছিলেন, ‘’আগে থেকেই এসব হামলার ঘটনা ঘটছিল, এ নিয়ে আলোচনাও হতো। কিন্তু এসব হামলাকে অনেকটা বিচ্ছিন্ন বলে মনে করা হতো। জঙ্গিরা যে এতোটা সংঘবদ্ধ হয়ে উঠেছে, সেটা টের পাওয়া যায় ১৭ই অগাস্টে সারা দেশে একযোগে বোমা হামলার ঘটনার পর।‘’
তবে সেই সময়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা এদের খুব একটা গুরুত্ব দেননি। ফলে জঙ্গিরা সংগঠিত হওয়া, এক জেলা থেকে আরেক জেলায় বোমা পরিবহন এবং বেশ কিছু জঙ্গি হামলা চালানোর সুযোগ পায়।
বিশ্লেষকরা বলেন, ১৯৯৯ সাল থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত হুজি-বি সারা দেশে অন্তত ১৩টি বোমা হামলা চালিয়েছে, যাতে শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছে।
জঙ্গিবাদ বিষয়ক গবেষক নুরুজ্জামান লাবু বিবিসি বাংলাকে বলেছেন, হুজি-বির পাশাপাশি জেএমবিও ২০০১ সাল থেকেই তাদের তৎপরতা শুরু করেছিল। দেশের বিভিন্ন এলাকায় তারা ছোট ছোট হামলা চালিয়ে আসছিল।
বিশেষ করে এই দলের সদস্যরা ২০০৪ সালে রাজশাহীতে ‘জাগ্রত মুসলিম জনতা’ নামে সংগঠিত হয়ে প্রকাশ্য তৎপরতা শুরু করে। লোকজন ধরে এনে তাদের ওপর নির্যাতন চালানোর খবর সেই সময়কার পত্রপত্রিকায় শিরোনাম হয়েছিল। তখন বিএনপি-জামায়াত সরকারের কোন কোন নেতার এ বিষয়ে সমর্থন ছিল বলে পরবর্তীতে বিভিন্ন তদন্তে বেরিয়ে এসেছে।
তখন কি করছিল আইনশৃঙ্খলা বাহিনী?
হুজি-বি এবং জেএমবির মতাদর্শগত কিছু পার্থক্য থাকলেও ১৭ই অগাস্টের বোমা হামলায় দুই সংগঠনই অংশ নিয়েছিল বলে নূর খান বলছেন।
এর আগে হুজি-বির নাম শোনা গেলও জেএমবি খুব একটা আলোচনায় আসেনি। যদিও এই সংগঠনটি তারও অন্তত সাত বছর আগে থেকে সংগঠিত হতে শুরু করেছিল।
জঙ্গিরা বিভিন্ন সময় গ্রেপ্তারের পর যেসব জবানবন্দি দিয়েছেন, তা থেকে জানা যায়, ১৯৯৮ সাল থেকেই জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশ বা জেএমবি সংগঠিত হতে শুরু করে। জেএমবির প্রতিষ্ঠাতা শায়খ আবদুর রহমানও গ্রেপ্তারের পর এমন জবানবন্দি দিয়েছিলেন।
কিন্তু সেই সময় তৎকালীন সরকার এসব হামলার সঙ্গে জঙ্গি সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ নাকচ করে দেয়।
যদিও জঙ্গিদের পরবর্তী স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে সেই সময়ের ক্ষমতাসীন দলের কোন কোন নেতা পৃষ্ঠপোষকতা করতো বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
জেএমবির আরেক নেতা সিদ্দিকুল ইসলাম ওরফে বাংলা ভাই রাজশাহী ও নওগাঁ জুড়ে তাণ্ডব চালালে তারা আলোচনায় উঠে আসে। তখন তারা নিজেদের জাগ্রত মুসলিম জনতা বা জেএমবি বলে পরিচয় দিতো। সেই সময় ‘বাংলা ভাই’ মিডিয়ার সৃষ্টি বলে মন্তব্য করেছিলেন বিএনপি-জামাত নেতৃত্বাধীন সরকারের শীর্ষ কর্মকর্তারা।
পরে ব্যাপক সমালোচনার মুখে ২০০৫ সালের ২৩শে ফেব্রুয়ারি জেএমবি ও হুজি-বিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। নিষিদ্ধ করা হলেও জঙ্গিদের বিরুদ্ধে সরকারের কঠোর কোন পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি।
২০২০ সালে বিবিসি বাংলাকে দেয়া একটি সাক্ষাৎকারে কাউন্টার টেরোরিজম এন্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইমের তৎকালীন প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মনিরুল ইসলাম বলেছিলেন, ”আমি তদন্ত প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত ছিলাম না বা এই বিষয়ে কাজ করতাম না।”
”কিন্তু এই বিষয়ে গত কয়েক বছরের পেশাদারি অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি, তখন যারা এই বিষয়গুলোয় কাজ করার দায়িত্বপ্রাপ্ত ছিলেন, তাদের কিছু কিছু ক্ষেত্রে উদাসীন্য ছিল, ব্যর্থতা ছিল।”
”এবং আমরা দেখেছি কিছু কিছু ক্ষেত্রে, যেমন এর আগে ২০০৪ সালের ২১শে অগাস্ট গ্রেনেড হামলা হয়েছিল, সেখানে আমরা দেখেছি, সরকারের কোন কোন মহলের পৃষ্ঠপোষকতা বা ডিনায়াল প্রসেস কাজ করেছিল বলে আমার বিশ্লেষণ।”
কিন্তু ২০০৫ সালের ওই বোমা হামলার ঘটনার পর জঙ্গিদের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান নিতে শুরু করে সরকার। সেই সময় ৬৩টি জেলায় একযোগে বোমা হামলার ঘটনায় ১৫৯টি মামলা হয়। বিশেষ করে সেই বছর ১৪ই নভেম্বর ঝালকাঠিতে জঙ্গিদের বোমা হামলায় দু’জন বিচারক নিহত হওয়ার পর জেএমবির শীর্ষ নেতাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
ঢাকার বাড্ডা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল হুজি-বির নেতা মুফতি হান্নানকে। আর পরের বছর মার্চ মাসে গ্রেপ্তার হন জেএমবি নেতা শায়খ আব্দুর রহমান, বাংলা ভাই নামে পরিচিত সিদ্দিকুল ইসলামসহ শীর্ষ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরের বছর তাদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।
পরবর্তীতে হুজি-বি বা জেএমবি তেমন সক্রিয় হতে না পারলেও ইসলামিক স্টেট এবং আল-কায়েদার মতাদর্শী একাধিক জঙ্গি সংগঠন সক্রিয় হয়ে উঠেছিল। যদিও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর অভিযানে জঙ্গি কর্মকাণ্ড অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসা সম্ভব হয়েছে বলেন মনে করেন পর্যবেক্ষকরা।
সুত্রঃ বিবিসি বাংলা