২০২৩ সালে দেশের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ১২০ জন জঙ্গি সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। এসময় বিপুল পরিমাণ দেশি ও বিদেশি অস্ত্র, গোলাবারুদ এবং বিভিন্ন ধরনের উগ্রবাদী বই ও লিফলেট উদ্ধার করা হয়েছে।
র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন মঙ্গলবার রাতে বাসসকে এসব তথ্য জানান ।
তিনি বলেন, ২০২৩ সালে ১২০ জন জঙ্গি সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে । একই সঙ্গে জঙ্গি আত্মসমর্পণে বিশেষ উদ্যোগ র্যাব ‘ ডি রেডিক্যালাইজেশন ও রিহ্যাবিলিটেশন’ কর্মপরিকল্পনা নেয়। এতে নয় জঙ্গি সদস্য র্যাবের কাছে আত্মসমর্পণ করেছে। এছাড়াও জঙ্গিবাদবিরোধী জনমত গড়তে ও জনসম্পৃক্ততা অর্জনে র্যাব ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা করেছে।
পাশাপাশি জঙ্গিদের অর্থের উৎস এবং অস্ত্র ও বিস্ফোরক প্রাপ্তি বন্ধ করতেও র্যাবের কার্যক্রম চলমান রয়েছে বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন,র্যাবের অভিযানে গ্রেফতার হয় জেএমবির শীর্ষ নেতা শায়খ আবদুর রহমান, সিদ্দিকুল ইসলাম ওরফে বাংলাভাই, আব্দুর রহমানের ভাই আতাউর রহমান সানি, জামাতা আবদুল আউয়াল, ইফতেখার হোসেন মামুন ও খালেদ সাইফুল্লাহ ওরফে ফারুক। ২০০৭ সালের ২৯ মার্চ তাদের ফাঁসি কার্যকর হয়। এরপর তেমন কোন জঙ্গি হামলা সংঘঠিত হয়নি। ২০১৬ সালের হলি আর্টিজান হামলার মাধ্যমে পুণরায় জঙ্গি সংগঠনের অস্তিত্ব ফুটে ওঠে।
খন্দকার আল মঈন বলেন, হলি আর্টিজান ঘটনা পরবর্তী সময়ে র্যাব জঙ্গিদের গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের গ্রেফতারে সক্রিয় ছিল। জঙ্গি সংগঠনের আমিরসহ গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে সাফল্য অর্জন করে র্যাব। এছাড়া র্যাবের অভিযানে কেন্দ্রীয় দাওয়াতী শাখা প্রধান, সূরা ও শরিয়া বোর্ড সদস্য, মহিলা শাখার নেতৃবৃন্দ এবং বেশ কয়েকজন অতি গুরুত্বপূর্ণ আইটি বিশেষজ্ঞকে গ্রেফতারের মাধ্যমে জঙ্গি সংগঠনকে দুর্বল করে দেয় র্যাব। হলি আর্টিজান পরবর্তীতে র্যাবের তৎপরতায় ১হাজার ৮৬৯ জঙ্গি সদস্য আটক হয়, এরমধ্যে ৮৭৩ জন জেএমবি সদস্য ।
তিনি বলেন, ‘জঙ্গি দমনে বাংলাদেশ আজ বিশ্বের বুকে রোল মডেল। জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জিরো টলারেন্স নীতির আলোকে র্যাব জঙ্গিবিরোধী কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে। প্রতিষ্ঠা হতে এ পর্যন্ত ২হাজার ৯শ’৯৯ জন বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠনের সদস্যদেরকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। এরমধ্যে ১হাজার ৪শ’৩৯ জন জেএমবি সদস্য।
এরই ধারাবাহিকতায় ২০২৩ সালে র্যাবের অভিযানে ১২০ জন বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠনের সদস্যদেরকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। এরমধ্যে ৪ জন জেএমবি সদস্য। জঙ্গিদের বিরুদ্ধে নজরদারি ও অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান খন্দকার আল মঈন।
সুত্র: বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা