অভিযুক্ত অনুপ চন্দ্র বর্মণ
দেশে চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলনে ঢাকার সঙ্গে সারাদেশের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়েও প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করেছে শিক্ষার্থীরা। এই প্রতিবাদ সমাবেশগুলোতে ছেলে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সমানতালে অংশ নিয়েছেন নারী শিক্ষার্থীরাও।
এদিকে আন্দোলনে অংশ নেওয়া নারী শিক্ষার্থীদের শ্লীলতাহানির করার নির্দেশনা দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদের ২১ ব্যাচের অনুপ চন্দ্র বর্মণ। গত মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) একটি স্ক্রিনশট ছড়িয়ে পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ফেসবুক গ্রুপে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ রাসেল হলের পলিটিক্যাল গ্রুপের ২১ ব্যাচের একটি গ্রুপে এই নির্দেশনা দেন অনুপ।
অনুপের দেওয়া এই নির্দেশনা ক্যাম্পাসে ছড়িয়ে পড়লে আতঙ্ক তৈরি হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নারী শিক্ষার্থীদের মধ্যে। সঙ্গে-সঙ্গেই অনুপকে হোয়াটসঅ্যাপ, মেসেঞ্জারে বিভাগের, হলের গ্রুপসহ সব গ্রুপ থেকে বের করে দেওয়া হয়। ওইদিনই পরিস্থিতি বুঝতে পেরে তৎক্ষণাৎ ক্যাম্পাস থেকে সটকে পড়েন অনুপ।
এদিকে অনুপের সঙ্গে একাডেমিক কার্যক্রম, সব ধরনের সম্পর্ক বয়কট করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদের ২১ ব্যাচের শিক্ষার্থীরা।
আগে থেকেই অনুপের আচার-আচরণ সন্দেহজনক জানিয়ে তারই এক নারী সহপাঠী বলেন, অনুপম সবসময় মেয়েদের সঙ্গে একটু বেশিই ঘেষতে চাইতো, অন্যভাবে তাকাতো। কিন্তু ও যে ভেতর থেকেই যে ওরকম ছিল তা আমাদের জানা ছিল না। এই ক্যাম্পাসে আমরা আর ওর মুখ দেখতে চাই না।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে অনুপ সাংবাদিকদের বলেন, যে গ্রুপটির মেসেজের স্ক্রিনশট ভাইরাল হয়েছে সেই গ্রুপে এরকম আরও কথা হয়েছে, কিন্তু শুধু আমারটাই ভাইরাল হয়েছে। তবে, বিষয়টি নিয়ে আমি লজ্জিত। আমি আর কখনো এমন কাজ করবো না। আমি সহপাঠীদের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী।
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের কাছে অনুপের শাস্তির মৌখিক দাবি জানিয়ে আসছেন সহপাঠীরা ও আন্দোলনে অংশ নেওয়া নারী শিক্ষার্থীরা। ক্যাম্পাস খুললে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডিকে তারা লিখিত অভিযোগ দেবেন বলেও জানিয়েছেন গণমাধ্যমকে।
সুত্রঃ ইত্তেফাক