মুফতি জসিম উদ্দিন রাহমানি
বৈসম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শেখ হাসিনার প্রধানমন্ত্রী পদ ছেড়ে পলায়নের পর থেকে ফের তেড়েফুঁড়ে উঠেছে কট্টর ইসলামপন্থীরা। আওয়ামি জমানায় যেসব জঙ্গিকে গ্রেফতার করা হয়েছিল, এখন তারাই ফের খোলা জমিনে পা রাখতে শুরু করেছে। যা খুবই উদ্বেগের বিষয়। কারণ, এই কট্টর জঙ্গি দলগুলি দীর্ঘদিন ধরেই বিভিন্ন দেশের সাহায্যে এদেশে সন্ত্রাস ও নাশকতা কাজের সাথে জড়িত।
সন্ত্রাসবিরোধী মামলায় জামিনে কারামুক্ত হলেন আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের প্রধান মুফতি জসিমউদ্দিন রাহমানি। সোমবার দুপুরে কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ছাড়া পান তিনি। মুফতি জসিমউদ্দিন রাহমানি বরগুনা সদর থানার খাজুরতোলা গ্রামের নুর মোহাম্মদের ছেলে।
কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার মোহাম্মদ লুৎফর রহমান জানান, মুফতি জসিমউদ্দিন রাহমানি সন্ত্রাসবিরোধী মামলায় জামিন পেয়েছেন। জামিনের কাগজপত্র যাচাই করার পর তাঁকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। জসিমউদ্দিনের বিরুদ্ধে ২০০৮ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি উত্তরা পশ্চিম থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা হয়েছিল। ওই মামলায় গতকাল, রবিবার ২৫ অগস্ট মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত থেকে জামিন পান তিনি। এছাড়া তার বিরুদ্ধে করা আরও তিনটি মামলা প্রত্যাহার করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি রাতে রাজধানীর পল্লবী থানার পলাশনগরে নিজের বাড়ির সামনে ব্লগার রাজীব হায়দারকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় রাজীবের বাবা থানায় মামলা করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে রাহমানিকে ২০১৩ সালের ১২ আগস্ট বরগুনা থেকে গ্রেফতার করা হয়। গণজাগরণ মঞ্চের কর্মী ব্লগার রাজীব হায়দার হত্যা মামলায় তাকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেয় ঢাকার একটি আদালত।
আনসারুল্লাহ বাংলা টিম ২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাজীব হায়দারকে হত্যার মাধ্যমে শিরোনামে এসেছিল। ২০১৫ সালের মে মাসে, বাংলাদেশ সরকার সংগঠনটিকে নিষিদ্ধ করে। দলটি অন্তত চার ব্লগার ও লেখককে হত্যা করেছে। তারা ২০১৬ সালে এলজিবিটি অধিকার কর্মী জুলহাজ মান্নান এবং তার বন্ধু খন্দকার মাহবুব রাবি তনয় হত্যার সঙ্গেও জড়িত ছিল।
সুত্রঃ সাম্প্রতিক দেশকাল