ছবি : সংগৃহীত
বাগেরহাটের মোংলায় হাফেজ শাহারিয়া (৪২) নামে এক মাদরাসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে শিশুছাত্রকে বলাৎকারের চেষ্টা ও হুমিধমকির অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার রাতে মোংলা থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী শিশুর বাবা। তবে মাদরাসা কমিটি ও কয়েকজন শিক্ষকের বিরুদ্ধে ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টারও অভিযোগ উঠেছে।
এর আগে ৬ আগস্ট উপজেলার কলেজ রোড এলাকার মোংলা বন্দর আইডিয়াল ক্যাডেট মাদরাসায় এ ঘটনা ঘটে। শিশুটি ওই মাদরাসার হেফজ শাখার শিক্ষার্থী। অভিযুক্ত শিক্ষক বর্তমানে পলাতক রয়েছেন। তবে ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর এলাকাবাসীর মধ্যে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী শৌচাগারে যেতে হেফজ শাখা থেকে অনুমতির জন্য শিক্ষক শাহারিয়ারের ব্যক্তিগত কক্ষে তাকে বলাৎকারের চেষ্টা করেন। ছাত্রটি ভয়ে চিৎকারের চেষ্টা করলে শিক্ষক শাহারিয়া বালিশ দিয়ে তার মুখ চেপে ধরে। এ সময় শিশুটি অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক বলেন- ঘটনাটি কাউকে বললে তাকে মাদরাসা থেকে বের করে দিবেন।
ভয়ে শিশুছাত্র মাদরাসার কারো প্রকাশ না করে বাসায় গিয়ে তার মাকে বিষয়টি বললে। পরে মা তার ছেলেকে নিয়ে মাদরাসার শিক্ষকদের কাছে বিষয়টি জানান। এতে শিক্ষক ও কমিটির লোকজন বিষয়টি দেখবে ও বিচার করবে বলে আশ্বাস দেন। কিন্তু পরে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
জানতে চাইলে মোংলা বন্দর আইডিয়াল ক্যাডেট মাদরাসার হেফজ বিভাগের সভাপতি আব্দুর রহমান বলেন, ‘বিষয়টি আমি শুনেছি। তদন্ত করে ঘটনা যদি সত্যতা পাই, তাহলে আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা নিব।’
অভিযুক্ত শিক্ষক হাফেজ শাহারিয়া বলেন, এটা মিথ্যা ও তার বিরুদ্ধে একটা ষড়যন্ত্র।
অভিযোগের বিষয়ে শুক্রবার মোংলা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম আজিজুল ইসলামের কাছে জানতে চাওয়া হয়।
তিনি বলেন, ‘আমরা মাদরাসা ছাত্রকে বলাৎকারের একটি অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনাস্থলে পুলিশ সদস্য পাঠানো হয়েছে। তদন্তে সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
সুত্রঃ দৈনিক সংবাদ