নিষিদ্ধ সংগঠন হিযবুত তাহরীরের প্রকাশ্য রাজধানীর রাস্তায় মিছিল বের করে হিজবুতপন্থীরা। তাদের আটকাতে কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে পুলিশ। প্রথমে আটকান সম্ভব না হলেও পরবর্তীতে একাধিক সদস্যকে গ্রেফতার করে পুলিশ। উত্তপ্ত হয়ে ওঠে রাজধানী ঢাকার রাস্তা।
হিযবুত তাহেরীর এ কর্মসূচির প্রতিবাদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ।
শুক্রবার (৭ মার্চ) সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এ বিক্ষোভ সমাবেশ করেন তারা।
হিজবুত তাহরীর ‘মার্চ ফর খিলাফত’ এর মাধ্যমে দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা ও তাদের কার্যক্রম ঠেকাতে রাষ্ট্রীয় বাহিনীর ব্যর্থতার প্রতিবাদে এ বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
এসময় ‘উগ্রবাদের ঠিকানা , এ বাংলায় হবে না’, ‘সন্ত্রাসবাদের ঠিকানা, এ বাংলায় হবে না’, ‘উগ্রবাদ নিপাত যাক, গণতন্ত্র মুক্তি পাক, ‘সন্ত্রাসবাদ নিপাত যাক, গণতন্ত্র মুক্তিপাক’ সহ নানা স্লোগান দেন সংগঠনটির নেতাকর্মীরা।
সমাবেশে গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক আব্দুল কাদের বলেন, হাসিনার ফ্যাসিবাদী আমলের পতনের পর থেকে হিজবুত তাহরীর মত অনেকগুলো জঙ্গি সংগঠনের তৎপরতা বেড়ে গেছে। হিজবুত তাহরীর উগ্রবাদের চর্চা করে। ৫ আগস্টের পর তাদের দৌরাত্ম্য আরও বেড়ে গেছে, সেখানে পুলিশ কি ভূমিকা পালন করছে। এখন পর্যন্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভূমিকা কী?
তিনি বলেন, যারা আজ এই সমাবেশ করেছে আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তাদেরকে গ্রেফতার করতে হবে। তাদেরকে গ্রেফতার করে তদন্তের আওতায় আনতে হবে। একইসঙ্গে তাদের মদদদাতাদেরও গ্রেফতার করতে হবে।
বিক্ষোভ সমাবেশে সংগঠনের মুখ্য সংগঠক হাসিব আল ইসলাম বলেন, গত কয়েকদিন ধরে হিজবুত তাহরীরের মত জঙ্গি সংগঠন তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। আজকে বায়তুল মোকাররম মসজিদ থেকে তারা মিছিল করেছে যা আমাদের জন্য উদ্বেগজনক।
তিনি বলেন, দীর্ঘ ছয়মাস পরও অন্তর্বর্তীকালীন সরকার জনগণের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে। আজকে আমরা দেখেছি—পুলিশ প্রশাসন নামমাত্র তাদের বাঁধা প্রদান করেছে। আমরা বলতে চাই, এ বাংলায় উগ্রবাদের কোনো ঠাঁই হবে না।
সুত্রঃ সময়ের আলো