জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মুহাম্মদের প্রধান মাসুদ আজহার। ছবি: সংগৃহীত
অপারেশন সিঁদুরে পাকিস্তানের জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মুহাম্মদের প্রধান মাসুদ আজহারের পরিবারের ১০ সদস্যসহ তার চার সহযোগী নিহত হয়েছেন। খবর এনডিটিভির।
বুধবার (৭ মে) তার বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা পিটিআই।
১৯৯৪ সালে ভারতে গ্রেপ্তার হওয়া এবং এয়ার ইন্ডিয়া আইসি ৮১৪ অপহরণের পর মুক্তি পাওয়া আজহারের নামে একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বাহাওয়ালপুরের জামিয়া মসজিদ সুবহানআল্লাহ – জইশ-ই-মোহাম্মদের সদর দপ্তরে বিমান হামলায় নিহতদের মধ্যে ছিলেন তার বড় বোন, বোনের স্বামী, এক ভাগ্নে এবং তার স্ত্রী, এক ভাগ্নে এবং বর্ধিত পরিবারের পাঁচ সন্তান।
মাসুদ বলেন, তার কোনো অনুশোচনা বা হতাশা নেই। বরং তিনি মনে করেন, যদিও আমিও এই ১৪ সদস্যের কাফেলায় যোগ দিতাম। তিনি বলেন, তাদের চলে যাওয়ার সময় এসে গিয়েছিল…।
জইশ-ই-মুহাম্মদ একটি পাকিস্তানভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন। ভারত-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরকে পাকিস্তানের সঙ্গে একত্রীকরণের লক্ষ্যে কাজ করে তারা।
জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ কর্তৃক আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী হিসাবে তালিকাভুক্ত ৫৬ বছর বয়সী মাসুদ আজহার ২০০১ সালের সংসদ হামলা, ২০০৮ সালের মুম্বাই হামলা, ২০১৬ সালের পাঠানকোট হামলা এবং ২০১৯ সালের পুলওয়ামা হামলাসহ ভারতে একাধিক সন্ত্রাসী হামলার ষড়যন্ত্রে জড়িত ছিলেন। তিনি পাকিস্তানে থাকলেও ইসলামাবাদ বারবার তার সম্পর্কে তথ্য থাকার কথা অস্বীকার করেছে।
পেহেলগামে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার প্রতিশোধ নিতে ভারত গত রাতে পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরের ৯টি স্থানে ২৪টি নির্ভুল ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ। ভারতীয় সরকারি সূত্র জানিয়েছে যে, এই হামলায় ৭০ জনেরও বেশি সন্ত্রাসী নিহত এবং ৬০ জনেরও বেশি আহত হয়েছেন।
ভারতীয় কর্মকর্তারা বেসামরিক হতাহতের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন। সূত্র জানিয়েছে, সমস্ত লক্ষ্যবস্তু সাবধানতার সঙ্গে পরীক্ষা করা হয়েছে এবং সন্ত্রাসী কার্যকলাপের সঙ্গে সরাসরি জড়িত বলে প্রমাণিত হয়েছে।
তবে পাকিস্তান জানিয়েছে, দেশটির ছয়টি ভিন্ন এলাকায় হামলাগুলোর লক্ষ্য ছিল বেসামরিক এলাকা ও উপাসনালয় এবং এতে বহু সাধারণ নাগরিক হতাহত হয়েছেন।
অপারেশন সিঁদুরের নেতৃত্বে দুই নারীঅপারেশন সিঁদুরের নেতৃত্বে দুই নারী
মঙ্গলবারের অভিযানে জইশ-ই-মুহাম্মদ ছাড়াও হিজবুল মুজাহিদিনের স্থাপনাও টার্গেট করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ভারতীয় সেনাবাহিনী। তবে পাকিস্তানের দাবি, হামলা স্থলের কোনোটিই জঙ্গি আস্তানা ছিল না।
সুত্রঃ একাত্তর টিভি