থাইরয়েড রোগ ছোঁয়াচে নয়। থাইরয়েড সমস্যা নিয়মিত চিকিৎসায় রোগ নিয়ন্ত্রণ করা যায়। তবে চিকিৎসা না নিলে মৃত্যুর কারণ হতে পারে।যদি হঠাৎ ওজন বেড়ে যায় বা কমে যায়, অতিরিক্ত ঘাম হয়, শীত বা গরম অসহ্য লাগে, শরীর ব্যথা করে, চুল পড়ে যায়, ত্বকের সমস্যা থাকে তাহলে ধরে নিতে হবে থাইরয়েডের ঝুঁকিতে আছেন। এছাড়াও যদি বুক ধড়ফড় বা হাত/পা কাঁপে, গলার স্বর বসে যায়, পাতলা পায়খানা হয়, শারীরিক দুর্বলতা থাকে, নিঃসন্তান দম্পতি বা বারবার গর্ভপাত হয়, অনিয়মিত/কম/বেশি মাসিক হয়, তাহলে অবশ্যই থাইরয়েড পরীক্ষা করতে হবে।
দেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় ২০ শতাংশ মানুষ কোনো না কোনো থাইরয়েড সমস্যায় ভুগছেন। আক্রান্তদের মধ্যে ৬০ ভাগই চিকিৎসা আওতার বাইরে রয়েছেন। জীবনে চারটি সময়ে অবশ্যই থাইরয়েড স্ক্রিনিং করা প্রয়োজন। প্রথমত- জন্মের পরপরই, দ্বিতীয়ত- বয়ঃসন্ধিকালে। এছাড়াও মায়েদের গর্ভধারণের পূর্বে ও বয়স ৪০ হওয়ার পর থাইরয়েড স্ক্রিনিং প্রয়োজন।
এক গবেষণায় দেখা গেছে, থাইরয়েড রোগ বিস্তারে বংশগত প্রভাব রয়েছে। বিশেষ করে দাদি, নানি বা মা- এদের থাইরয়েডের সমস্যা থাকলে ৭০ শতাংশের ক্ষেত্রে শিশুদের ও আত্মীয়স্বজনদের থাইরয়েড সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। আট শতাংশ রোগী সাব-ক্লিনিক্যাল হাইপোথাইরোডিসমে ভুগছে, যার অধিকাংশই তাদের থাইরয়েড আছে- তা জানে না।
সুত্রঃ যুগান্তর