সাম্প্রতিক সময়ে পাকিস্তানে বাংলাদেশী তরুণদের জঙ্গি সংগঠনে জড়িত থাকার খবর আবার সামনে এসেছে। নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানে ইতিমধ্যেই দুই বাংলাদেশী নিহত হয়েছেন। পাশাপাশি, টিটিপির সঙ্গে সম্পৃক্ত সন্দেহে দেশের দুইজনকে আটক করেছে পুলিশ।
২৬ সেপ্টেম্বর পাকিস্তান-আফগান সীমান্তে একটি বিশেষ অভিযানে ১৭ জন নিহত হন, যার মধ্যে ছিলেন ফয়সাল নামের এক বাংলাদেশী যুবক। তার বাড়ি মাদারীপুরে।
এর আগে এপ্রিলে, পাকিস্তানের উত্তর ওয়াজিরস্থানে নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানে আহমেদ জুবায়ের নামে আরেক বাংলাদেশী নিহত হন।
টিটিপির সঙ্গে সম্পৃক্ত সন্দেহে দুই বাংলাদেশীকে আটক করা হয় গত জুলাইয়ে।
এই দুইজনের মধ্যে একজনকে ২ জুলাই সাবার থেকে, অন্যজনকে ১৪ জুলাই নারায়ণগঞ্জ থেকে গ্রেফতার করে পুলিশের অ্যান্টি টেরোরিজম ইউনিট।
আটককৃতদের কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশ থেকে সৌদি আরব বা দুবাই হয়ে আফগানিস্তান ও পাকিস্তানে পৌঁছে টিটিপির নেটওয়ার্কে যোগ দিচ্ছেন সদস্যরা।
জঙ্গি সংগঠন টিটিপি
*টিটিপি (ট্রান্সনেশনাল তেহরিক-ই-ইসলাম) মূলত পাকিস্তানের পাঠান মাদ্রাসা ছাত্রদের বিভিন্ন সংগঠনের জোট।
* ২০০৭ সালে বায়তুল্লাহ মেহেসের নেতৃত্বে ১৩টি সংগঠন মিলিত হয়ে টিটিপি গঠন করে।
* ২০২০ সালে পুনরায় একত্রিত হয়ে পাকিস্তানে ইসলামী শাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য ঘোষণা করে।
* এই সংগঠন বিভিন্ন সময়ে পাকিস্তানে মসজিদ, স্কুল ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে হামলার জন্য দায়ী।
* তাদের নেটওয়ার্ক পাকিস্তানের বাইরে, বিশেষ করে বাংলাদেশ থেকে জিহাদী সদস্য রিক্রুট করে বলে মনে করা হয়।
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট
* বাংলাদেশি তরুণদের রিক্রুটমেন্টে একটি প্রক্রিয়া দীর্ঘদিন ধরে সক্রিয় রয়েছে।
* পুলিশ সূত্র বলছে, *ইঞ্জিনিয়ার ইমরান হায়দার* নেতৃত্বে বাংলাদেশ থেকে জনবল সংগ্রহের ব্যবস্থা পরিচালিত হচ্ছে।
* বাংলাদেশের বিভিন্ন সময়ে প্রকাশ্যে মুজাহিদ রিক্রুটমেন্টের ঘটনা ঘটেছে।
এছাড়া বাংলাদেশের জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল সারকিয়া নামের একটি জঙ্গি সংগঠন আলকায়দার সঙ্গে যোগসূত্র রাখে, যা টিটিপির সাথে যুক্ত।
গোয়েন্দা তথ্য ও সহযোগিতা
* পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা কিছুদিন ধরে বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষকে এই বিষয়ক তথ্য সরবরাহ করছে।
* তাদের তথ্যের ভিত্তিতে বাংলাদেশের পুলিশ টিটিপির সঙ্গে জড়িত সন্দেহে অভিযান চালাচ্ছে এবং নেটওয়ার্কের বিস্তৃততা খুঁজে বের করছে।
সুত্রঃ জনকন্ঠ