শরীয়াহ ভিত্তিক আদর্শ নিকাহ (বিবাহ) ব্যুরো ও কনসালটেন্ট প্ল্যাটফর্ম ‘আইডিয়াল ম্যারেজ ব্যুরো’র প্রতিষ্ঠাতা মুফতি মামুনুর রশিদ কাসেমীর বিরুদ্ধে তার তৃতীয় স্ত্রী পরিচয়ে গুরুতর অভিযোগ করেছেন এক নারী। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে ‘তামান্না হাতুন’ নামের একটি ফেসবুক আইডি থেকে এ অভিযোগ করা হয়।
অভিযোগে বলা হয়, তাকে তালাক দেওয়ার পরেও তার সঙ্গে ঘনিষ্ট হন মামুনুর রশিদ কাসেমী। ওই নারী অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার পর তাকে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ।
ফেসবুক পোস্টে ওই নারী বলেন, ‘আমি মুফতি মামুনুর রশিদ কাসেমীর তৃতীয় নম্বর স্ত্রী। গত এক বছর যাবত তার সঙ্গে আমার মৌখিক বিবাহের মাধ্যমে সংসার করি। দশ হাজার টাকা কাবিন দিয়ে। তা নিয়ে আমার কোনো সমস্যা নেই।’
তিনি বলেন, ‘‘Ideal Marriage Bureau-IMB এর মাধ্যম মেয়েদেরকে সংসার দিবে, সেটা ওরা ওয়াদা করে। তাদের দুঃখ কষ্ট তারা দেখবে। কিন্তু এইসবের পিছনে তারা সেইসব নারীদেরকে এক মাসে দুই মাসের জন্য কন্টাক্টে বিয়ে দেয়, কিছু কিছু বড়লোক লোকের সঙ্গে। তারা যখন তাকে ছেড়ে দেয় তখন প্রশ্ন করলে বলে, ‘বউ বেশি তর্ক করে তাই ছেড়ে দিয়েছি।’ একদিক দিয়ে মহিলাদেরকে ঘর সংসার দিবে বলে, আরেকদিকে ইচ্ছাকৃতভাবে মহিলাদেরকে ব্যবহার করে, তাদের সংসার নষ্ট করার পরিকল্পনা করে।’’
তিনি অভিযোগ করেন, এসব নিয়ে তর্ক করতে গেলে তার সঙ্গে আমার ঝামেলা হয় এবং একপর্যায়ে মুখে তালাক দেয়। তারপরও আমি আশায় ছিলাম আমার সঙ্গে সংসার ঠিক হয়ে যাবে। এবং তার সঙ্গে আমার তালাক হওয়ার পরেও সে আমার সঙ্গে অবৈধভাবে মেলামেশা করে এই বলে যে, সে সবকিছু ঠিক করে নিবে এবং সেই সময় আমার গর্ভে একটি বাচ্চাও আসে।
গর্ভে বাচ্চা আসার পরের ঘটনা বর্ণনা দিতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘‘বাচ্চা আসার আগে সে আমাকে ঘর থেকে বের করে দেয় এবং আমি আমার মামার বাসায় যাই।
কয়দিন পর আমি যখন ডক্টরের কাছে যাই, তখন এই খবর পাই যে আমি গর্ভবতী এবং সেটা আমি তাকে জানাই। সে আমাকে বলে, ‘এটা অবৈধ সন্তান এটা পৃথিবীতে আসলে তোমার আর আমার জন্য ক্ষতিকর। আল্লাহর কাছে জবাব দিতে হবে। এই বাচ্চা ফেলে দাও, আমি সবকিছু ঠিক করে ফেলব।’ সে আর তার দুলাভাইয়ের প্রথম স্ত্রী আমাকে জোর করব সে ওষুধটি খাওয়ায়।’’
বাচ্চা নষ্ট হওয়া পরবর্তী সময় সম্পর্কে তিনি জানান, বাচ্চা নষ্ট হওয়ার তিনদিন পর সে কুষ্টিয়াতে যেয়ে একটি ১৩ বছরের মেয়েকে বিয়ে করে। এবং সেই কি এখনো পাবলিশ করেনি অনলাইনে। ১৪/১০/২০২৫ আমি তার বিরুদ্ধে একটি মামলা জমা দেই। আমি আশা করতেছি এটার ভালো ফলাফল পাবো।
তিনি বলেন, ইমাম উদ্দিন আমার সৎ বাবা আমার মাকে হুমকি কেউ দেয় যে, তোমার মেয়ে যদি অনলাইনে এসে আমাদের বিরুদ্ধে কথা বলে, তাহলে আমি তোমাকে সঙ্গে সঙ্গে তালাক দিয়ে দিব।
শেষে তিনি বলেন, আপনারা যতটুকু জানেন আমি এই আইডি থেকে সব পজিটিভ পোস্ট করতাম ওদেরকে নিয়ে। এবং অনেক মা বোন এসেছেন এবং আমার সঙ্গে কথা বলেছেন। একটা সময় মনে হতো আমি সবথেকে ভালো কাজের সঙ্গে যুক্ত আছি। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে পৃথিবীর সবথেকে নিকৃষ্ট কাজের সঙ্গে আমি যুক্ত আছি। আমি চাইলেই আমার জীবন নতুন করে শুরু করতে পারতাম। কিন্তু ওদেরকে না থামাইলে, মহিলাদের সঙ্গে ওরা এরকমই প্রতারণা করবে।
এদিকে মুফতি কাশেমী তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে দাবি করেছেন, সে যেই মিথ্যা মামলা করেছে, সেটা নিয়ে আমি বিস্তারিত প্রসাশনের সাথে কথা বলব।
কিছু আগেই ইসলামী বক্তা আবু ত্বহা মোহাম্মদ আদনানকে নিয়ে তার স্ত্রী সাবিকুন নাহার বেশ কিছু অভিযোগ করেন। যার মধ্যে অন্য নারীর সঙ্গে কথোপকথ, তাকে মারধরসহ বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে।
সুত্র: কালেরকন্ঠ