আরজি কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের জুনিয়র চিকিৎসক ডিউটি করে রাতে বিশ্রামের জন্য সেমিনার রুমে যায়। পরদিন সকালে তার রক্তাক্ত অর্ধনগ্ন মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তাঁকে ধর্ষণ করে খুন করার অভিযোগ উঠে। সিসিটিভি ফুটেজে ৯ আগস্ট ভোর ৪.০৩ মিনিটে সঞ্জয় রায় সেমিনার কক্ষে প্রবেশ করে এবং আধা ঘণ্টা পর রুম থেকে বেরিয়ে আসে। অপরাধস্থলে সঞ্জয় রায়ের ব্লুটুথ হেডফোন খুঁজে পায় পুলিশ। সঞ্জয়কে গ্রেপ্তারের পর ধর্ষণ-খুনের তথ্যপ্রমাণ লোপাটের অভিযোগে আরজি করের সাবেক অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ দায়ী করে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। স্টেথো হাতে যে তরুণী স্বপ্ন দেখেছিলেন মানুষের জীবন বাঁচানোর, তাঁর এই পরিণতি মানতে পারেননি সহকর্মীসহ সাধারন মানুষ। ধর্ষণ ও খুনের বিচার চেয়ে রাস্তায় নামেন অসংখ্য মানুষ। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়ও দোষীর ফাঁসির সাজা দাবি করেন। সেই ঘটনার ৫ মাস পর নারী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের মামলায় দোষী সঞ্জয় রাইকে সোমবার আমৃত্যু কারাবাসের নির্দেশ দিয়েছে শিয়ালদহ আদালত। রায় শুনে ‘সন্তুষ্ট’ নন নিহত তরুনী চিকিৎসকের বাবা-মা। ধর্ষণ ও হত্যার বিচারের দাবি তুলে জুনিয়র চিকিৎসকদের সাথে যে সাধারন মানুষগুলো রাস্তায় নেমে আন্দোলন করেছিলেন সেই ‘কাঙ্ক্ষিত ফল’ কি মিলেছে? এই রায়ে?
