নারীরা কোথাও তেমন একটা নিরাপদ নয় বললেই চলে। নারী যতদিন নির্ভয়ে ও স্বাধীনভাবে চলাফেরা করতে পারবে না, ততদিন নিরাপত্তা ও সহিংসতা নিয়ে আতঙ্কে থাকতে হবে। ৭৬ শতাংশ নারী জীবনে অন্তত একবার জীবনসঙ্গীর সহিংসতার শিকার হতে হয়েছে এবং কেবল মাত্র ২০২৫ সালেই ৮.৩ শতাংশ নারী প্রযুক্তির মাধ্যমে নানাভাবে সহিংসতার শিকার হয়েছে। অনেক শিক্ষিত-সম্ভ্রান্ত পরিবারের মেয়ে নারী সাইবার বুলিংয়ের শিকার হয়ে মোটা অঙ্কের টাকাসহ মান-ইজ্জত জলাঞ্জলি দিতে বাধ্য হচ্ছে! বিভিন্ন পত্রিকা ও সামাজিক মাধ্যমেই এসব তথ্য যেমন অস্থির ও হতাশাগ্রস্ত করে তোলে। একই সঙ্গে ডিজিটাল প্রযুক্তির মাধ্যমে যারা এহেন ঘৃণ্য অপরাধ সংঘটিত করছে, তাদের চিহ্নিত করে দ্রুত আইনের আওতায় সোপর্দ করার সঠিক সময়। নয়তো ডিজিটাল সহিংসতার শিকার নারীর আত্মহত্যার পথ বেছে নেওয়ার সংখ্যাটি ক্রমশ বাড়ছে, এক্ষেত্রে আইনের যথাযথ প্রয়োগ ও বাস্তবায়ন খুবই জরুরি। পরিবারে, বিদ্যালয়ে, কর্মস্থলে, শহরে, বন্দরে, যানবাহনে, এমনকি বিভিন্ন সেবা প্রতিষ্ঠানে তাদের অনুকূল পরিবেশ তৈরি করতে সমাজে নারী-পুরুষের যে ন্যায্য অধিকার ও গুরুত্ব রয়েছে; উভয়ে মিলে যে অভিন্ন সত্তা, এই মানবিকতাবোধটুকু সমাজ গভীরভাবে উপলব্ধি করতে না পারলে নারীর প্রতি বৈষম্য চলতেই থাকবে। সমাজ, পরিবার সবার উচিত সহিংসতার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো। নারী জাতিকে ‘মানুষ’ হিসেবে যোগ্য সম্মান প্রদান করার জন্য দায়িত্ব ও কর্তব্য আমাদের সকলের, বিশেষ করে পুরুষ জাতির। নারী-শিশুসহ সবার প্রতি ডিজিটাল সহিংসতার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াই!
