পশ্চিমবঙ্গে আরজি কর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শিক্ষানবিশ চিকিৎসক ৩১ বছর বয়সী মৌমিতাকে সেমিনার রুমে দলগতভাবে ধর্ষণের পর নৃশংস হত্যা করা হয়। পরের দিন সকালে সহযোগী এক চিকিৎসক দেখতে পান, সেমিনার রুমে নিস্পন্দ পড়ে রয়েছে মৌমিতার নিথর দেহ। নিম্নাঙ্গে কোনো বস্ত্র নেই। শরীরের ওপরের অংশের পোশাক ছেঁড়া। পাশে পড়ে রয়েছে তার ভাঙা চশমা। ময়নাতদন্তে মৌমিতার যৌনাঙ্গে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। মুখ ও শরীরের অন্যত্র আঘাত ও নখের আঁচড়ের চিহ্ন ছিল। শ্বাসরোধ করে খুনের প্রাথমিক প্রমাণ মিলেছে। নৃশংস এই সহিংসতায় প্রমাণ করে নারীরা কোথায় নিরাপদ নয়। মৌমিতার উপর নৃশংস এই ঘটনা ঘটার পর সমাজের প্রগতিশীল নাগরিকসহ সর্বস্থতরের নাগরিকেরা প্রতিবাদের ঝড় তুলেছে ভারতজুড়ে। বিভিন্ন প্রদেশের চিকিৎসকরা ডেকেছেন ধর্মঘট। সংহতি জানিয়ে প্রতিবাদে অংশ নিচ্ছে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরাও। শুধু তাই নয়, বিভিন্ন বয়সী নারীদের সঙ্গে পুরুষেরাও তুলেছেন প্রতিবাদী আওয়াজ। ইন্টার্ন চিকিৎসক মৌমিতাকে ধর্ষণ ও হত্যার প্রতিবাদে সংহতি জানিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েও একদল শিক্ষার্থী ‘মেয়েরা রাত দখল করো’ কর্মসূচি পালন করেছে। মিছিলে মিছিলে শিক্ষার্থীরা আওয়াজ তুলেছে ‘গুঁড়িয়ে দেব পিতৃতন্ত্র, কেঁপে উঠবে রাষ্ট্রযন্ত্র’, ‘আমাদের শুধু মোমবাতি হাতে নীরব থাকার দায়’, ‘পোশাকের বাহানায়, পার পাবে না কোন পিশাচ’, ‘প্রশ্ন যখন স্বাধীনতার, বাংলা জুড়ে ওয়েদ্দেদার’ পরিশেষে বলতে চাই আজ সমাজে কোন ক্ষেত্রেই নারীরা নিরাপদ নয়। সময়ে এসেছে এসমস্ত হিংস্র জানোয়াদের বিরুদ্ধে রুখে দাড়াবার।
