বাংলাদেশে জঙ্গিবাদের কারন ও প্রকৃতি বুঝতে হলে এ যাবতকালে এই বিষয়ে যে সব গবেষণা হয়েছে, তা থেকে ধারণা করতে পারি৷ জঙ্গিবাদ বা সন্ত্রাসবাদ গত বিশ বছরের গোড়াতে দেশের জন্য একটি বড় সমস্যা সৃষ্টি হয়। রাজনীতিবিদ, বিশ্লেষকদের গবেষণায় ফলাফল দারিদ্র্যই হচ্ছে জঙ্গিবাদ ও সহিংস চরমপন্থার কারণ এবং সুযোগবঞ্চিত মানুষেরা জঙ্গি সংগঠনের আদর্শের প্রতি আকর্ষিত হয়৷ আফগানিস্তান ও পাকিস্তানি কয়েকটি মাদ্রাসার ভূমিকার ওপরে নির্ভর করে অনেকে মাদ্রাসাকেই ইসলামপন্থী সহিংস চরমপন্থার উৎস বলে প্রচার করতে থাকেন৷ এসব ধারণা শিগগিরই চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে শুরু করে; কেননা, দেখা যায় যে দেশ ও আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী সংগঠনের অধিকাংশ নেতা কিংবা আত্মঘাতী বোমা হামলাকারীরা দরিদ্র, সুবিধাবঞ্চিত কিংবা ধর্মীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষিত নয়৷ এদেশের জঙ্গিবাদ আজ আর মাদরাসা পড়ুয়াদের নিয়ন্ত্রনে নেই। বিগত সময়ে যারা জঙ্গি হিসেবে ধরা পড়ছে তাদের মধ্যে ডাক্তার, ইঞ্জিয়ার, বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া ছাত্র, যারা বর্তমান আধুনিক যুগে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে সাধারনের তুলনায় বেশ এগিয়ে। এরা আইন-শৃংখলার বাহিনীকে চ্যালেঞ্জ ফেলে প্রযুক্তির মাধ্যমে তাদের জঙ্গি কর্মকান্ড এগিয়ে নিচ্ছে। দেশে কয়েকটি নিষিদ্ধ সংগঠনের কার্যক্রমে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালের ছাত্রদের উপস্থিতি রাষ্ট্রের জন্য চিন্তার কারণ হয়ে দাড়িয়েছে। রাষ্ট্রের আইন-শৃংখলা বাহিনীকে আরো বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে শক্তিশালী করতে হবে তা না বিপদ আসন্ন হতে পারে।
