জঙ্গি সমস্যা নির্মূল করা শুধু আইন শৃঙ্খলা বাহিনী বা সরকারের নয়। শহর কেন্দ্রিক প্রতিটি বাড়ির মালিক যদি এমন সচেতন হত তাহলে জঙ্গিদের নিয়ন্ত্রণ বা প্রতিরোধ করা অনেকটাই সহজ হয়। জঙ্গিদের কতগুলো বৈশিষ্ট্য আছে যা দেখে আমরা সন্দেহ করে সতর্ক হতে পারি। আগে জিহাদ করার জন্য ধর্মীয় মতাদর্শী জঙ্গিরা শুধুমাত্র পুরুষ জড়াত,নারীদের যুক্ত করত না। এখন আধুনিক জঙ্গিরা নারী ও শিশুদের নিয়ে একটা পরিবারের মত থাকে। এরা নিজেদের মতের অনুসারীদের ভেতরেই বিয়ে করে। মানুষের সন্দেহ ও নিরাপত্তার স্বার্থে ঘন ঘন ভাড়াবাড়ি বদল করে। তাই ভারি আসবাবপত্র বলতে গেলে থাকে না। এই বিষয়গুলো সহজেই লক্ষ করতে পারি। বাড়ি ভাড়া দেয়ার সময় জানা উচিত আগের বাড়ি কেন ছেড়েছে। আয়ত্তের ভেতরে থাকলে যেখানে ছিল খোঁজ নেয়া যায়। যদি দেখা যায় সেই বাসাতেও সে খুব কম সময় থেকেছে, তবে তাকে সন্দেহ করা যেতেই পারে। ব্যবসায়ের কথা বা যেটাই বলুক সন্দেহ হলে কর্মক্ষেত্রে খোঁজ –খবর করা দরকার। তবে এ কাজটি মূলত আইন শৃঙ্খলা বাহিনী ঠিকঠাক মত করতে পারে। তবে সুযোগ থাকলে বাড়ির মালিকের ও খোজে-খবর নেওয়ার চেষ্টা করা উচিত।
জঙ্গিরা নিয়মিত কোনও চাকরি করে না। বেশির ভাগই বলে অমুক ব্যবসা করে। হয়ত এটা বলে তাদের বিভিন্ন সময় এটা-ওটা বহন করে বাড়িতে আনতে হয়। তাই কেউ যেন সন্দেহ না করে তার আগাম সতর্কতা। বিভিন্ন কার্টুন বা বস্তা বব্যহার করলে ব্যাপারটা খতিয়ে দেখা উচিত। এদের দুই শ্রেণি আছে কারও বাসায় তেমন কেউ আসেই না, আরেক শ্রেণির বাসায় হরদম অপরিচিত লোকের আনাগোনা থাকে। তবে দুটো বিষয়ে সব সময় মিল লক্ষ করা যায়—দরজা, জানালা সব সময় বন্ধ করে রাখে আর তারা কারও সাথে মেলামেশা করে না। যে কেউ যখন তখন আমার বিপদে পড়ে যেতে পারি। আপনার পাশের ফ্ল্যাটে যদি বোমার গুদাম থাকে, আপনি কতটা ঝুঁকিতে আছেন একবার চিন্তা করে দেখুন। তাই শুধু আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর ছেড়ে দিলে চলবে না। আপনাকে সচেতন হবে। কথাগুলো পুরানো হলেও নতুন করে বলছি কারণ জঙ্গিরা বসে নেই। তারা বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন রূপ/ লেবাস ধারন করে সমাজে মিশে যায়। তাই জনতাকেই সচেতন থাকতে সবার আগে।
