বাংলাদেশের সম্প্রতিক নারী ও শিশুর যৌন নির্যাতন বা যৌনলালসার কিছু ঘটনা সামাজিক মানবিকতার পতনের ইঙ্গিত৷ টাঙ্গাইলের মধুপুরে শতাধিক বছরের এক বৃদ্ধা ধর্ষণের শিকার হন সেখানে ধর্ষকের বয়স ১৫ বছর, চট্টগ্রামের ফটিকছড়ির৷ ৯ মাস বয়সী এক শিশুকে ধর্ষণ হয় ধর্ষক ২৬বছরের তরুণ। ঘটনা দুটি বিশ্লেষন করলে দেখা যায় শিশু থেকে বয়োবৃদ্ধ- সব বয়সের ভূক্তভোগী নারী-শিশু আর ধর্ষণ ও নির্যাতনের ঘটনাগুলো ঘটছে মানুষের সামাজিক মূল্যবোধ এবং মানসিক বিকৃতিতে, যৌন লালসাই পূরণে এই কাজগুলো করত তাহলে বিভিন্ন কথা কিন্তু ধর্ষণের পর আবার হত্যাও করছে আর এই হত্যা হচ্ছে প্রশ্ন। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির কল্যাণে হাতের মুঠোয় দুনিয়া, মোবাইলে ইন্টারনেটর মাধ্যমে পর্নোগ্রাফি বা অনেক নেগেটিভ কিছু সমাজে বিদ্যামন। পর্ণোগ্রাফি এমন নেশা যা শিক্ষক, হুজুর, ব্যবসায়ী, শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে সমাজে সর্বস্তরকে গ্রাস করে ফেলেছে। স্কুল, মাদ্রাসা,কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকেই প্রায়ই ধর্ষণ, নির্যাতনের নেতিবাচক সংবাদ আসে কোনো কোনো শিক্ষক ধর্ষক রূপে আবির্ভূত হন। কেউ মাওলানা, কেউ মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল, কেউবা খ্যাতনামা স্কুলের শিক্ষক, তবে এদের মধ্যে মাদ্রাসা শিক্ষাব্যবস্থায় শিশুরা সবচেয়ে বেশি যৌন নির্যাতন বা যৌনলালসার শিক্ষার হন। সংবাদপত্রের পাতা খুললেই দেখা যায় দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে মাদরাসার শিক্ষক দ্বারা শিশুরা বিকৃত যৌন নির্যাতন বা যৌনলালসার শিকার।
