কুমিল্লার নানুয়াদীঘির পাড়ে একটি পূজামণ্ডপে পবিত্র কোরআন অবমাননার অভিযোগ তোলে দেশজুড়ে ঘটে যাওয়া অপ্রীতিকর ঘটনায় উসকানিদাতা ইসলামি বক্তা মাওলানা আবদুর রহিম বিপ্লবীকে (৩৯) গ্রেফতার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
বৃহস্পতিবার (২১ অক্টোবর) ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
সিআইডির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আজাদ রহমান জানান, ১৩ অক্টোবর দুর্গাপূজার মহাঅষ্টমীর দিন ভোরে কুমিল্লা শহরের নানুয়াদীঘির পাড়ে একটি পূজামণ্ডপে কোরআন পাওয়া যায়। পরে একদল লোক কোরআন শরীফ অবমাননার অভিযোগ তুলে ওই পূজামণ্ডপে হামলা ও ভাঙচুর চালায়। এ ঘটনার জেরে ধরে সেদিনই চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে কিছু মন্দিরে হামলা চালানো হয়। সহিংসতায় কয়েকজন নিহত হন।
ওই দিনই ইসলামি বক্তা মাওলানা আবদুর রহিম বিপ্লবী একটি ওয়াজ মাহফিলে বক্তৃতাকালে উসকানিমূলকভাবে বলেন, মূর্তির পায়ে যারা পবিত্র কুরআন শরীফ রেখেছে, তাদের আগামী বৃহস্পতিবারের (১৪ অক্টোবর) মধ্যে গ্রেফতার না করলে শুক্রবার (১৫ অক্টোবর) জুমার নামাজ শেষে বাংলাদেশের প্রত্যেকটি মসজিদ থেকে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। বাংলাদেশে একটি পূজামণ্ডপও রাখব না।
এছাড়া কুমিল্লার পূজা ইস্যুকে কেন্দ্র করে চাঁদপুরের নিহতের ঘটনায় পুলিশকে দায়ী করে অপমানজনক, তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য, অবজ্ঞা এবং উগ্র বক্তব্য প্রচার করেন এই বক্তা।
সিআইডির এই কর্মকর্তা আরও বলেন, তার এই বক্তব্য বিভিন্নভাবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে জনগণের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। এই বক্তব্য ছড়িয়ে পড়লে সারা দেশেই আইনশৃংখলার অবনতি ঘটতে থাকে। দেশের বিভিন্ন জায়গায় হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িঘর ও উপাসনালয়ে হামলা চালায় দুবৃত্তরা। ফলে অনেকেই তাকে গ্রেফতারের দাবি জানান।
বিষয়টি সিআইডির সাইবার মনিটরিং সেলের নজরে এলে তারা দ্রুত আবদুর রহিম বিপ্লবীকে শনাক্ত করে। পরে সিআইডির সাইবার মনিটরিং সেলের একটি টিম ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার শুভাঢ্যা ইউনিয়নের চুনকুটিয়া পূর্বপাড়া জামে মসজিদের সামনে থেকে তাকে গ্রেফতার করে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পুজামণ্ডপ সম্পর্কিত উসকানিমূলক বক্তব্য দেওয়ার কথা আবদুর রহিম স্বীকার করেছেন। তার বিরুদ্ধে পল্টন মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
Ref. Bangla News 24
4 comments
দেশজুড়ে ঘটে যাওয়া অপ্রীতিকর ঘটনায় উসকানিদাতা হিসাবে আব্দুর রহিম দায়ী কিনা তা তদন্ত না করে মন্তব্য করা ও একটি অন্যায়। আর সে যদি অন্যায় করে তবে তার শাস্তি হওয়া জরুরী
হুজররা কথা বললেই সব উস্কানি হয়ে যায়। আর অন্যরা সরাসরি না বুঝে না শুনে না দেখে হুজুরদের উপর দোষারোপ করে তা কোন উস্কানির মধে্য পড়ে না
পুলিশকে দায়ী করাই হুজুরের জন্য কাল হয়ে গেল পুরো ঘটনার রেশই হুজুরের উপর দিয়ে যাবে
কাউকে উস্ককে দেওয়া ইসলাম এই ধরনের কাজ পছন্দ করে না ।