বরগুনায় আলিম নামের ১১ বছরের মাদ্রাসার ষষ্ঠ শ্রেণির শিশু শিক্ষার্থীকে পায়ে শিকল বেধে ও পিটিয়ে নির্যাতন করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই শিক্ষার্থীর মা এর অভিযোগ মাদ্রাসার শিক্ষক মারুফ তার ছেলে কে এই নির্যাতন করেছেন। ঘটনাটি ঘটেছে বরগুনা সদর উপজেলার বরগুনা সদর ইউনিয়নের পশ্চিম হেউলিবুনিয়া গ্রামের মৃধা বাড়ি হাফিজিয়া মাদ্রাসায়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বরগুনা সদর থানার অফিসার ইনচার্য (ওসি) কে এম তারিকুল ইসলাম। আহত শিশুটিকে উদ্ধার করে শুক্রবার (৫ নভেম্বর) সন্ধ্যায় বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।
এ বিষয়ে আলিমের মা বলেন, আলিম একটু তোতলিয়ে কথা বলে। তাই মাদ্রাসার অন্যদের সঙ্গে ঠিকমতো পড়ে ওঠতে পারে না। এ কারণে মাদ্রাসার হুজুররা প্রায়ই রাগারাগি করে। রাগারাগি করার কারণে আলিম বৃহস্পতিবার ( ৪ নভেম্বর ) বাড়িতে আসলে আমি তাকে বুঝিয়ে শুনিয়ে মাদ্রাসায় রেখে আসি। সে যেন মাদ্রাসা থেকে বের হতে না পারে সেজন্য মাদ্রাসার শিক্ষক মারুফ তার পায়ে শিকল দিয়ে বেধে রাখে। শুক্রবার ফজরের ওয়াক্তের একটু আগে শিকলের তালার চাবি শিক্ষক মারুফের বাক্সের উপর দেখতে পায় আলিম। সে চাবি দিয়ে শিকল খুলে বাড়িতে চলে আসে। তার পিছনে পিছনে মাদ্রাসার শিক্ষকরাও বাড়িতে আসে। তারা আলিমকে সঙ্গে নিয়ে যাওয়ার জোড় করলে আমি তাদেরকে বলি আপনারা যান আমি কিছুক্ষণ পরে আলিম কে মাদ্রাসায় দিয়ে আসবো। কিন্তু তারা জোড় করে আলিম কে ধরে নিয়ে যায়।
তিনি বলেন, মাদ্রাসায় নিয়ে তারা আলিমের ওপর শারীরিক নির্যাতন করে। তার কানে থাপ্পড় মেরে কান থেকে রক্ত বের করে দেয়। পিঠে লাথি মারে এবং লাঠি দিয়ে পাছার উপরে পিটিয়ে আহত করে। এ সময় লাঠির এক বাড়ি আলিমের বাম হাতের কবজিতে লাগলে কবজি মারাত্মক ভাবে ফুলে ওঠে। আমি আলিমের বাবা মাদ্রাসায় গিয়ে আলিমকে উদ্ধার করে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করি।
তিনি আরও বলেন, আলিমের বাবা রিক্সা চালায় গরীব মানুষ। আলিম কে মাদ্রাসায় দিয়েছি কোরআনের হাফেজ বানাতে এই রকমের নির্যাতন করার জন্য নয়।
এ বিষয়ে ওসি কে এম তারিকুল ইসলাম বলেন, পশ্চিম হেউলিবুনিয়া মৃধা বাড়ি হাফিজি মাদ্রাসার ১১ বছরের এক শিশু শিক্ষার্থীকে মাদ্রাসার মারুফ নামে এক শিক্ষক পিটিয়ে আহত করেছে। ঘটনা শুনে আমরা ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠাই। এ সময় এলাকাবাসী একজোট হয়ে শিক্ষক মারুফের বিচার দাবী করে। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ও অবস্থা বেগতিক দেখে অভিযুক্ত শিক্ষক মারুফ মাদ্রাসা থেকে পালিয়ে যায়। মারুফের বাড়ি বরগুনা জেলার তালতলী উপজেলার ছোটবগী ইউনিয়নে। এ ব্যপারে বরগুনা সদর থানায় একটি মামলা রুজু করা হবে।
সুত্রঃ ইত্তেফাক
12 comments
কারণে অকারণে শারিরীক নির্যাতন, এই সমস্যার কারণে বাচ্চারা মাদ্রাসা যেতে চাই না
এইটা ঠিক হয়নি এই মাদ্রাসার শিক্ষককে আইনের আওতায় আনা হোক। এদের কারণে সব মাদ্রাসার বদনাম হয়
শিক্ষককে এমন শাস্তি দেওয়া উচিত যাতে পরবর্তীতে এমন ভুল আর কেউ না করে
এই রকম মাইরের কারণে কতবার যে মাদ্রাসা থেকে পালিয়েছি, তার কোনো হিসাব নাই।
এ হুজুর কি মানুষ নাকি জানোয়ার ওকে এ রকমভাবে মারলে ও বুঝবে ঐ ছেলেটার কতো কষ্ট হয়েছে
বেশিরভাগ মাদ্রাসায় ই এভাবে মারপিট করছে শিক্ষকরা কারণ এটা তাদের নিয়ন্ত্রন অস্ত্র হিসাবে গণ্য
সবাই ভুল বুঝবেন না, সকল মাদ্রাসার শিক্ষকগণ এক নয়।আর যদি সকল মাদ্রাসার শিক্ষকগণ এক রকম হতেন তাহলে কোন স্টুডেন্ট সেখানে পড়তেন না
লোক মুখে শুনতাম যে মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থায় এইরকম মারধর করা হয় আজ নিজ চোখে দেখলাম।
আমরা সাধারণত মাদ্রাসা শিক্ষকদের কে আলেম বলে থাকি, আসলে এরা আলেম ঠিক আছে কিন্তুু দুঃখের বিষয় হল সঠিক দ্বীন ইসলামের শিক্ষা এদের ভিতর কাজ করে না।
এ ধরনের সমস্যার কারণেই বাচ্চারা মাদ্রাসা যেতে চায়না, এরকমের হুজুরদের কঠিন থেকে কঠিন শাস্তি হওয়া দরকার, কিছু কিছু হুজুরদের কারণে সব হুজুরদের বদনাম হয়
প্লিজ আপনারা এভাবে মারধর করা থেকে বন্ধ করুন। কেননা আমার ছোট ভাইয়ের ঢাকা মাদ্রাসায় পড়ে, এসব দেখলে মনে হয় আমার ছোট ভাইটা ও ওদের মতন নরপিশাচ শিক্ষকদের কাছে মার খায়। অনেক কষ্ট নিউজটা পড়ে আপনারা কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করুন। যেন অন্যরাও ভয় পায়
Kuttar baccha ke fashi howar dorkar choto bacchader ke ki keo ai bhabe mare janoar . Madhara te besir bhag e Amon bhabe pitano hoy onek madrashatei . Allah Jara Amon kore tader Tumi bichar korio . Amin Amin Amin