১১ বছরের মেয়েকে নিয়ে বাগেরহাট মোংলা থেকে খুলনায় ডাক্তার দেখাতে এসেছিলেন গৃহবধূ (২৮) তার সঙ্গে ভাগনেও (২৬) ছিলেন। ০৭ ডিসেম্বর (মঙ্গলবার) ডাক্তারের সিরিয়াল না পাওয়ায় তারা নগরী হাদিস পার্ক সংলগ্ন সুন্দরবন আবাসিক হোটেলে দুটি রুম ভাড়া নেন। গভীর রাতে হোটেল কক্ষে চেকের নামে সেখান ঢুকে মেয়ের সামনে মাকে ধর্ষণ করেন খুলনা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মোঃ জাহাঙ্গীর আলম (৪৪)।
এ অভিযোগে ০৮ ডিসেম্বর (বুধবার) বিকেলে খুলনা সদর থানায় মামলা হয়েছে। মামলা পর আসামি এসআই জাহাঙ্গীর আলমকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। জাহাঙ্গীর আলমের বাড়ি চুয়াডাঙ্গা দামুড়হুদা থানার বিষ্ণুপুর গ্রামের মো. আতিয়ার রহমানের ছেলে।
মামলার এজাহার ও ভুক্তভোগী সুত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার খুলনায় ডাক্তার দেখাতে এসে সিরিয়াল পাননি ওই গৃহবধূ। রাতটা হোটেলে থেকে পর দিন ডাক্তার দেখিয়ে বাড়িতে ফেরার কথা ভেবেছিলেন। সেই মতো খুলনা নগরের লোয়ার যশোর রোডের সুন্দরবন আবাসিক হোটেলে মেয়ে ও ভাগনেকে নিয়ে ওঠেন তারা। ৩১৩ নম্বর কক্ষে গৃহবধূ ও তার মেয়েকে নিয়ে এবং ৩০৮ নম্বর কক্ষে ভাগনে থাকেন। ঔদিন দিবাগত রাত সোয়া দুইটার দিকে হোটেলের কক্ষে দরজায় জোরে জোরে শব্দ হয়। কে? জিজ্ঞেস করতেই পুলিশ এসেছে বলে জানান হোটেলের বয় গোলাম মোস্তফা (২৭)। গোলাম মোস্তফাকে নিয়ে ৩১৩ নম্বর কক্ষে দরজায় নক করছিলেন ডিবির এসআই মোঃ জাহাঙ্গীর আলম। পুলিশের কথা শুনে কক্ষ খুলে দেন গৃহবধূ।
এসআই জাহাঙ্গীর আলম গৃহবধূকে জিজ্ঞাসা করেন সঙ্গে থাকা মেয়েটি তার কি না। এ সময় পুলিশ হোটেল বয়কে কক্ষ থেকে বের করে দিয়ে মেয়ের সামনে মাকে ধর্ষণ করেন। এর আগে মেয়েকে ও ধর্ষণের হুমকি দেন তিনি। পরে তাদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন চলে আসেন । এ সময় এসআই জাহাঙ্গীর আলম ঘটনাস্থল থেকে চলে যান।
পরে গৃহবধূর ভাগণে বিষয়টি হোটেল মালিককে জানালে তারা পুলিশকে খবর দেন। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ধর্ষণের অভিযোগে মামলার পর আসামি জাহাঙ্গীর আলমকে পুলিশ হেফাজতে নেয় হয়।
খুলনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ হাসান আল মামুন বলেন, হোটেল কক্ষে ধর্ষণের ঘটনায় মামলা হয়েছে। আসামিকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
সুত্রঃ মহেশখালী ট্রিবিউন