চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) বন ও পরিবেশ বিদ্যা ইনস্টিটিউট (ফরেষ্ট্রি) মসজিদের ইমাম শহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে ক্যান্টিনের এক বালককে বলাৎকারের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। এর জের ধরে তাকে গণপিটুনি দিয়েছে শিক্ষার্থীরা।
বুধবার (৮ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে এই ঘটনা ঘটে। বিষয়টি কালের কণ্ঠকে নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর রবিউল হাসান ভূঁইয়া।
অভিযুক্ত ইমাম শহিদুল ইসলাম হাটহাজারী উপজেলার মৃত ফয়েজ আহাম্মদের ছেলে। এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের এ এফ রহমান হলের ইমামের দায়িত্বে থাকাকালীন সময়েও তার বিরুদ্ধে ছাত্রদের যৌন হয়রানি অভিযোগ উঠে।
জানা যায়, বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টারদা সূর্য সেন হলের ক্যান্টিন থেকে সাগর হোসেন নামে এক বালককে বলৎকারের উদ্দেশে বাগানে ডেকে নিয়ে যায় শহিদুল। কিছুক্ষণ পর বালকটি চিৎকার করলে বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন ছাত্র হাতেনাতে শহিদুলকে আটক করে। পরে উপস্থিত কয়েকজন ছাত্র শহিদুলকে মারধর করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে বলৎকারের চেষ্টার বিষয়টি স্বীকার করেছেন বলেও জানা গেছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক রবিউল হাসান ভূঁইয়া কালের কণ্ঠকে বলেন, শিক্ষার্থীরা অভিযোগ দিয়েছে। পরে আমাদের সহকারী প্রক্টররা ও পুলিশ মিলে তাকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে আনে। তার গায়ে কিছু আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। চিকিৎসার জন্য মেডিক্যাল সেন্টারে পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি আমরা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেব। আজ বৃহস্পতিবার একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে।
সুত্রঃ কালেরকন্ঠ
5 comments
কিছু নামদাড়ী হুজুরের জন্য আজ মাদ্রাসার বদনাম হয়
বলাৎকারের ফাঁসি চাই, ইসলাম ধর্ম অনুসারে, ফাঁসি কার্যকর করুন।
ইমামকে আইনের আওতায় এনে বিচার করা দাবী জানাই
জানি না ঘটনা কতটুকু সত্য। দোষী হলে শাস্তি দিতে হবে যাতে এই সমস্ত পাপীদের জন্য সমাজ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে
মানুষ তো ভুল করতে পারে তার জন্য আইন নিজেদের হাতে না নিয়ে প্রশাসনের কাছে তুলে দিন